ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

২৮ হাজার বছর ধরে গুহায় ‘ঘুমিয়ে’ সিংহছানা!

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২১
২৮ হাজার বছর ধরে গুহায় ‘ঘুমিয়ে’ সিংহছানা!

হঠাৎ দেখলেই মনে হবে যেন চুপটি করে ঘুমিয়ে আছে শাবকটি। ছুঁলেই জেগে উঠবে! গায়ের সোনালি লোম কাদায় মাখামাখি, কিন্তু কোথাও পচন বা ক্ষয়ের চিহ্নটুকুও নেই।

কে বলবে, ওর বয়স ২৮ হাজার বছর! নখ এখনও এতটাই তীক্ষ্ণ যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে গিয়ে তা বিঁধে গেল গবেষকের আঙুলে। কিন্তু তাতে নজর দেওয়ার সময় কোথায়? 

২০১৮ সালে সাইবেরিয়ার এক গুহায় যখন সিংহশাবকটির সন্ধান মিলেছিলো। সেসময় বিজ্ঞানীরা অভিভূত!

তুষারযুগের এমন অক্ষত মমি আর একটিও পাননি তারা। তুষারযুগের সবচেয়ে ভালোভাবে সংরক্ষিত, গুহা সিংহের মমি। সম্প্রতি এর বয়স নির্ধারণ করা গেছে ২৮ হাজার বছর! বিজ্ঞানীরা ভালোবেসে এর নাম দিয়েছেন স্পার্টা। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

স্পার্টার দাঁত, নখ, চামড়া এখনো সম্পূর্ণ অক্ষত। নরম টিস্যু আর অঙ্গগুলো মমি হয়ে গেলেও পচন ধরেনি। তার লোমগুলোও এখনো জীবন্ত সিংহের মতো।

এর আগে ২০১৭ সালে একই গুহাতে মিলেছিলো আরও একটি সিংহ শাবকের সন্ধান। রাশিয়ার সেমুলেখ নদীর ধারে ওই গুহায় মাত্র ৪৯ ফুটের ব্যবধানে গুহা সিংহ দুটির মমি পায় বিজ্ঞানীরা।

২০১৭ সালে পাওয়া শাবকটির নাম দেওয়া হয়েছিলো বরিস। বরিসের বয়স প্রায় ৪৩ হাজার ৪৪৮ বছর! তবে, বরিসের চেয়ে স্পার্টার মমির অবস্থা অনেক ভালো।  

তুষারযুগে সাইবেরিয়ার এই অংশে ঘুরে বেড়াতো তুন্দ্রা নেকড়ে, লোমশ গন্ডার, ম্যামথ, বাইসনরা, ভাল্লুক। একইসঙ্গে ছিলো কেভ লায়নরা (গুহা সিংহ)। এখনকার আফ্রিকান সিংহদের চেয়ে আকারে সামান্য বড় ছিলো এরা। কিন্তু সাইবেরিয়ার প্রবল ঠাণ্ডায় তারা কীভাবে থাকতো? সেটা বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও একটা ধাঁধাঁ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।