ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

সেলুনে স্বর্ণের ক্ষুরে শেভ 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
সেলুনে স্বর্ণের ক্ষুরে শেভ 

ব্যবসা বাড়াতে প্রচার যে অন্যতম হাতিয়ার, তা ফের বোঝাচ্ছেন এক নরসুন্দর। গ্রাহকের গোঁফদাড়ি ছাঁটা বা কামানোর কাজে আট তোলা ওজনের স্বর্ণের ক্ষুর ব্যবহার করছেন মালিক অবিনাশ বরুন্ডিয়ার।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পুনেতে।

অবিনাশের এই অভিনব ভাবনা বেশ হইচই ফেলে দিয়েছে নেটদুনিয়ায়। আচমকাই প্রচারের আলোয় উঠে এসেছেন তিনি। ভারতের নানা সংবাদমাধ্যমে এখন শিরোনাম অবিনাশ!

পুনে সংলগ্ন পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় শহরের ওই সেলুনে প্রত্যেক গ্রাহকই ‘স্পেশাল’! অন্তত ওই সেলুনের মালিক অবিনাশ বরুন্ডিয়ার তেমনই দাবি।

প্রায় ৮০ গ্রাম ওজনের ওই স্বর্ণের ক্ষুরটি কিনতে কত টাকা খরচ হয়েছে অবিনাশ জানিয়েছেন, চার লাখ টাকা দিয়ে ওই ক্ষুর কিনেছেন তিনি।

হঠাৎ করে স্বর্ণের ক্ষুরই বা কিনতে গেলেন কেন অবিনাশের দাবি, তার সেলুনে আসা প্রতিটি গ্রাহকই ‘স্পেশাল’। গ্রাহকদের স্পেশাল মনে করেন বলেই স্বর্ণের ক্ষুর ব্যবহার করা শুরু করেছেন তিনি।

তার সেলুনে যে স্বর্ণের ক্ষুরে গোঁফদা-দাড়ি কাটা যায়, সে কথা ঘটা করে প্রচারও করছেন অবিনাশ। এমনকি, সম্প্রতি সেলুনের উদ্বোধনে স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতাকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। এমন প্রচারে ফলও পাচ্ছেন অবিনাশ। ধীরে ধীরে হলেও পসার বাড়ছে।

তবে করোনাকালে পসার বাড়ানো তো দূরের কথা, ব্যবসা লোপাট হওয়ার দায় হয়েছিল অবিনাশদের মতো ছোট দোকানিদের। করোনার সংক্রমণ রুখতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে দফায় দফায় ভারতজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন দেশটির সরকার। বন্ধ রাখতে হয়েছে দোকানপাট-হাটবাজার, সেলুন-স্পা-জিম-রেস্তরাঁ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর জেরে ভীষণ লোকসান হয়েছে অবিনাশ-সহ অগণিত ছোটখাটো ব্যবসায়ীদের। কাজ হারিয়েছেন বহু শ্রমিক।

ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর সব কিছুর মতোই ফের খুলেছে দোকান-বাজার, রেস্তরাঁ-সেলুনও। তারপর থেকে গ্রাহক টানতে উঠেপড়ে লেগেছেন অবিনাশের মতো ব্যবসায়ীরা।

অবিনাশের দাবি, স্বর্ণের ক্ষুর দিয়ে গোঁফদাড়ি কামানোয় প্রত্যেক গ্রাহকই নিজেকে ‘স্পেশাল’ বলে মনে করবেন। তাই এমন উপায় বের করেছেন তিনি। এতে তার সেলুনে লোকজনও ভিড় করবেন বলে মনে করেন অবিনাশ।

সেলুনে লোকজনের ভিড়ের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের নজরেও পড়েছেন অবিনাশ। সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছেন, “সোনার ক্ষুর দিয়ে গোঁফদাড়ি কামানোয় সাধারণ মানুষজন নিজেকে ‘স্পেশাল’ বলে মনে করবেন। যাদের বেশি টাকাপয়সা নেই, তারাও স্বর্ণের ক্ষুর দিয়ে গোঁফদা-দাড়ি কামাতে পারবেন। ”

তা অবিনাশের চার লাখ টাকার ক্ষুরে গোঁফ-দাড়ি কামাতে গ্রাহকদের কত টাকা লাগে সংবাদমাধ্যমের কাছে সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। অবিনাশ বলেন, “আমার সেলুনে স্বর্ণের ক্ষুর দিয়ে দাড়ি কাটার খরচ মাত্র ১০০ রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৪ টাকা। সূত্র: আনন্দবাজার 

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।