ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

নিরপরাধ কেউ যেন ঢালাও মামলার শিকার না হন

জয়নাল আবেদীন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪
নিরপরাধ কেউ যেন ঢালাও মামলার শিকার না হন

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর রক্তাক্ত আরেক অধ্যায়ের নাম চব্বিশের ৫ আগস্ট। এদিন ছাত্র-গণ-অভ্যুত্থানে পতন হয় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের।

শুধু তাই নয়; অর্থ-বিত্ত, পেশিশক্তিতে ভর করে যে দলের শীর্ষ নেতারা ধরাকে সরা জ্ঞান করতেন, তাঁরাও ঐতিহ্যবাহী নিজ দল আওয়ামী লীগকে অস্তিত্ব সংকটে ফেলে রেখে লাপাত্তা। প্রাণ বাঁচাতে দলের প্রধান হাসিনাও পালিয়ে ভারতের আশ্রয়ে।

এদিকে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নতুন বাংলাদেশের নেতৃত্বে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর সঙ্গে নেতৃত্বে প্রবীণ-নবীন একঝাঁক প্রতিশ্রুতিশীল উপদেষ্টামণ্ডলী।
প্রায় ভঙ্গুর অর্থনীতি। ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি টালমাটাল।

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোও দলীয় স্বেচ্ছাচার, দুর্নীতি ও লুটপাটে প্রায় বিপর্যস্ত। এমন সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমতা নিতে হয়, যখন সর্বত্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা। দায়িত্ব নিয়েই এই সরকার একটু একটু করে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন ও সংস্কার পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এখনই এর মূল্যায়নের উপযুক্ত সময় হয়নি। এই কাজে তাদের দরকার লম্বা সময়।

ড. ইউনূস বিশ্বব্যাপী সমাদৃত, জননন্দিত, বিশ্ববরেণ্য। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে পৃথিবীর কোথাও কারো মধ্যে দ্বিধা নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তের ৯২ জন নোবেলজয়ী তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁর প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন।

জুলাইয়ে বাংলাদেশের বিপ্লবে সমর্থন জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বিক্ষোভ প্রদর্শন করার অপরাধে ৫৭ জন বাংলাদেশিকে আটক করে দীর্ঘ মেয়াদে সাজা দিয়েছিল দেশটি। সেখানে যাঁর সবচেয়ে কম সাজা হয়েছে, তাঁরও ১০ বছরের কারাদণ্ড। একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। ড. ইউনূসের আহ্বানে ইউএই সরকার এই ৫৭ জনের সাজা মওকুফ করে দেয়। এটি বিশাল এক কূটনৈতিক জয়। কারণ ইউএই সরকার সচরাচর এ ধরনের সাজা মওকুফ করে না। এটি সম্ভব হয়েছে কেবলই ড. ইউনূসের ইমেজের কারণে। এটিও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ড. ইউনূসের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করে।

কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের কথা বাদ দিলে বাংলাদেশের মানুষও নিরঙ্কুশভাবে ড. ইউনূসকে সম্মান জানিয়ে আসছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তাঁর কিছু কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ দারুণ খুশি। জনগণ তাঁর ওপর আস্থা রেখেছে। রাষ্ট্র মেরামতের অনিবার্য প্রয়োজনে তাঁর দীর্ঘমেয়াদি নেতৃত্ব প্রত্যাশা করে অনেকে। আবার কেউ কেউ নিভৃতে অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, কী করে এই সরকারকে বিতর্কিত করা যায়! সেই অপপ্রয়াস জনগণের সম্মিলিত প্রতিরোধে একাধিকবার ব্যর্থও হয়েছে। এর পরও থেমে নেই ষড়যন্ত্রকারীরা। নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর দেশজুড়ে অগণিত মামলা হচ্ছে। জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দায়েরকৃত মামলাগুলো নিয়ে কারো প্রশ্ন নেই। সংশয়-সন্দেহ কেবল আসামির তালিকা নিয়ে। ভিন্ন ভিন্ন মামলায় ঘুরেফিরে একই এজাহার, অভিন্ন আসামির তালিকা দেখে কিছু সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

মামলাগুলোর আসামির তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিষয়টি উদ্বেগের। ঢালাওভাবে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীকে মামলায় জড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁরা দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখছেন, পণ্য উৎপাদন করে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করছেন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছেন—এমন অনেক খাতের ব্যবসায়ীকে মামলায় জড়িয়ে তাঁদের মনোবল ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে আগামীর নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি যে গভীর উদ্বেগের, তা উল্লেখ করে এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকেও গণমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক করেছে সরকার। তবে অতি উৎসাহীরা ঠিকই তৎপর রয়েছে।

এমনিতেই দেশের অর্থনীতিকে তছনছ করে দিয়ে গেছে আগের সরকার। ডলার সংকট, গতিহীন রপ্তানি-রেমিট্যান্স, রাজস্ব আর বিনিয়োগ খরায় অর্থনীতি বলতে গেলে পুরো বিপর্যস্ত। ব্যাংক লুটের টাকায় প্রভাবশালীদের বিদেশে বিলাসী জীবন যাপনের ঘটনা সবারই জানা। টাকা পাচার হয়ে গিয়েছিল নিয়মিত ঘটনা। আগের সরকারঘেঁষা এসবের নেপথ্যনায়কদের ধরাই সরকারের মূল কাজ। এর মাধ্যমে নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ ক্ষতিগ্রস্ত খাতকে পুনর্গঠন করে মানুষের মনে আস্থা ফেরানো। ভালোমন্দ খেয়েপরে যাতে সাধারণ মানুষ টিকে থাকতে পারে—এটিই সরকারের অগ্রাধিকার। ঠিক এই সময়ে অতি উৎসাহীরা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার লক্ষ্যে নামে-বেনামে গণহারে, নির্বিচারে মামলা দিচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, দুষ্কৃৃতকারী গোষ্ঠীকে পাকড়াও করতে গিয়ে যাতে কোনোভাবেই সৎ ও দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা এখন আমাদের সবার কর্তব্য।

গত ১৬ বছরে দেশে আইনের শাসন না থাকা, সুবিচার না পাওয়া, দুর্নীতি, অনিয়মের ঘটনাগুলো জনগণকে বিষিয়ে তুলেছিল। সব মিলে আওয়ামী লীগ সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনায় এসব অনিয়মের ঘটনা জনগণকে বিক্ষুব্ধ করে। তবে মামলা-হামলার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারছিল না। এই যে সহস্র যন্ত্রণা মুখ বুজে সহ্য করতে গিয়ে কিছু মুখ ফুটে বলতে না পারার ভয়াবহ যন্ত্রণা মানুষ পুষে বেড়াচ্ছিল, সব কিছুর পরিণতি হলো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান।

তবে এই অভ্যুত্থানের আগে সরকারি কর্মচারী, রাজনীতিবিদ, আমলাসহ প্রভাবশালী গোষ্ঠীর অবিশ্বাস্য দুর্নীতির বিষয়ে যখন কেউ কিছু বলতে পারছিল না, তখন দুঃসাহস দেখায় গুটিকয়েক গণমাধ্যম। বিশেষ করে কালের কণ্ঠ সামনে থেকে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। একমাত্র কালের কণ্ঠই পুলিশের সাবেক মহাপরাক্রমশালী মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের ভয়াবহ দুর্নীতির খবর জাতির সামনে নিয়ে আসে। সবাইকে নাড়িয়ে দেওয়া ওই প্রতিবেদন পুরো দেশের শীর্ষ মহলের দুর্নীতির হাঁড়ির খবর উন্মোচন করে দেয়। যা কখনো কেউ ভাবেনি, সেটিই সাহস ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তুলে ধরে কালের কণ্ঠ। ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত প্রতিবেদন ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে যে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ পায়, সেগুলোকে দেশের প্রত্যেকটি মানুষ নিজেদের না-বলা কথা বলেই উপলব্ধি ও স্বীকার করে। এই রিপোর্টের সূত্র ধরে দুর্নীতি দমন কমিশন বেনজীরের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করে দেয়। এমন অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আরো বহু প্রভাবশালীর দুর্নীতির তথ্য ফাঁস অব্যাহত থাকে। কালের কণ্ঠকে দেখে তখন অন্য গণমাধ্যমও সাহস পায়। একে একে তারাও এগিয়ে আসে। তবে আলোর পথ দেখায় কালের কণ্ঠ। মানুষের মধ্যে সাহসের সঞ্চার হয়। এর মধ্যে যুক্ত হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যু। সব মিলে উদ্ভূত পরিস্থিতি জনগণকে ওই আন্দোলনের সঙ্গে আরো বেশি যুক্ত করে দেয়। নতুন মাত্রা পায় স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলন।

দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তা বেনজীরের হাঁড়ির খবর প্রকাশের মধ্য দিয়ে মানুষের না-বলা কথা প্রকাশ করার দুঃসাহস দেখানো অনুসন্ধানী সাংবাদিক হায়দার আলীও (বর্তমানে কালের কণ্ঠ’র নির্বাহী সম্পাদক) অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে অতি উৎসাহীদের নির্বিচার মামলার শিকার। যে সাংবাদিক আওয়ামী লীগের অন্তত ৫৭ জন প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে ৯টি মামলার আসামি হয়েছেন, সেই সাংবাদিককে বর্তমানে দুটি মামলায় আসামি করা হয়েছে, এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের আর কী হতে পারে! বিশেষ করে এই অনুসন্ধানী সাংবাদিক বেনজীর আহমেদের মতো দোর্দণ্ড প্রতাপশালী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, অবসরের পরও যাঁর এতটুকু প্রভাব কমেনি, তেমনই একজনের দুর্নীতি ফাঁস করে দিয়েছেন। তাঁর ওই প্রতিবেদনের পর দেশজুড়ে পুলিশের মধ্যেও দুটি ভাগ হয়ে গিয়েছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। বেনজীরের অনুসারী চক্রটি সুযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রতি আগ্রাসী হয়ে উঠেছে, এমন আশঙ্কা তাই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। হায়দার আলীর মতো ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিরপরাধ সাংবাদিকরা এখন সরকারকে বিতর্কিত করার মতো নির্বিচার মামলার শিকার হচ্ছেন। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এটি স্বার্থান্বেষী মহলের নতুন কোনো সূক্ষ্ম চাল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

আরো একটি বিষয় লক্ষণীয় যে ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর দেশজুড়ে চরম অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা হয়। শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার মতো অনভিপ্রেত ঘটনাও ঘটেছে। বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা হিসেবে মন্দিরে হামলা চালানো হয়। এর বিপরীতে আমরা অবশ্য মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতৃত্বে মন্দির পাহারা দিতেও দেখেছি। শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাঁদের ফিরিয়ে আনতে দেখেছি। তবে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অসাধু কর্মকর্তারা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছেন। তাঁরা যেকোনো সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উত্খাত করার উদ্দেশ্যে কৌশলে নানা অঘটনের জন্ম দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন।

জুলাই-আগস্টে দেশজুড়ে যে গণহত্যা চালানো হয়েছে, তা পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশেই প্রত্যাশা করা যায় না। বিশেষ করে নিজ দেশের ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালানোর ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এটি করতে গিয়ে যাতে নিরপরাধ কেউ আক্রান্ত না হন, সে বিষয়টি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

সামনের দিনগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতির গতি স্বাভাবিক রেখে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি। জিনিসিপত্রের দাম স্থিতিশীল রাখা, পণ্যের সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখা ও বিনিয়োগ বাড়ানোই সরকারের অগ্রাধিকার। এর মধ্যে কোনো চক্র যদি ষড়যন্ত্র করে, তবে সরকারের অগ্রাধিকার প্রচেষ্টা ব্যাহত হতে পারে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও নিশ্চিত করতে হবে। স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনের এটিও একটি অন্যতম লক্ষ্য ছিল। সেটি যাতে আমরা ভুলে না যাই। বৈষম্যহীন বাংলাদেশে গণহত্যাকারী ও তাদের দোসরদের কোনো ক্ষমা নেই, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি, অনিয়ম, অর্থ পাচারকারী চক্রকে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে নতুন বাংলাদেশে একজন নিরপরাধ ব্যক্তিও যাতে আক্রান্ত না হন, সেটিও সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বিবেচনায় রাখতে হবে। ঢালাও মামলা দিয়ে কোনোভাবেই দুর্নীতিবাজ, দুর্বৃত্ত, অর্থ পাচারকারীদের ধরা সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।