ঢাকা, সোমবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯ সফর ১৪৪৭

মুক্তমত

জাতীয়তাবাদ ও মধ্যপন্থার সমন্বয়ে গণমানুষের রাজনীতি

সাঈদ খান, সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ |
আপডেট: ০৮:৫০, আগস্ট ৪, ২০২৫
জাতীয়তাবাদ ও মধ্যপন্থার সমন্বয়ে গণমানুষের রাজনীতি সাঈদ খান

‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’ সংক্ষেপে বিএনপি—এই নামের মধ্যেই নিহিত রয়েছে এক ঐতিহাসিক সংস্কৃতি, দার্শনিক ভিত্তি এবং আদর্শিক অবস্থান। বিশেষ করে ‘জাতীয়তাবাদী’ শব্দটি শুধু একটি রাজনৈতিক পরিভাষা নয়, বরং এটি আত্মপরিচয়ের আন্দোলন, রাষ্ট্রচিন্তার একটি বিকল্প রূপ এবং এক অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক দর্শনের প্রতীক।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ রাজনৈতিক অস্থিরতা, চরমপন্থা, দলীয় কর্তৃত্ববাদ এবং একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। ওই সময় ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’কে একমাত্র জাতীয় পরিচয় হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা হয়েছিল, যা কার্যত ধর্ম, জাতিসত্তা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে অগ্রাহ্য করেছিল।

এই একমাত্রিক চিন্তার বিপরীতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’, যা ইতিহাস, ভূগোল ও সমাজবাস্তবতা থেকে গঠিত এক বহুমাত্রিক রাষ্ট্রচিন্তা।

জাতীয়তাবাদ ও মধ্যপন্থার সমন্বয়ে গণমানুষের রাজনীতিবাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ বাঙালি পরিচয়কে অস্বীকার না করেও ভূগোলভিত্তিক একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় পরিচয়ের দিকেই অগ্রসর হয়। এই দর্শন দেশের সব জনগোষ্ঠী—চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সবার সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য ও সম-অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়। এখানে জাতীয় পরিচয় গঠিত হয় ভূখণ্ড, ইতিহাস, বৈচিত্র্য এবং জনগণের অভিজ্ঞতার সম্মিলিত চেতনায়।

রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা-পরবর্তী অস্থিরতা ও দমন-পীড়নের অভিজ্ঞতা থেকে উপলব্ধি করেন একটি সংগঠিত, আদর্শভিত্তিক এবং জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ছাড়া স্থিতিশীল রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব নয়। তিনি প্রবীণ রাজনীতিকদের সঙ্গে সংলাপে যুক্ত হন, বিশেষত মওলানা ভাসানীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মশিউর রহমান যাদু মিয়ার সঙ্গে, যিনি একটি বিকল্প জাতীয় প্ল্যাটফর্ম গঠনে আগ্রহী ছিলেন। এই প্রক্রিয়ায় ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে গঠিত হয় ‘জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল’ (জাগদল), যা পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর কাঠামোয় রূপ নেয় ‘জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট’-এ। আর এ থেকেই বিকশিত হয় ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’, যা স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সংগঠিত, ধারাবাহিক এবং আদর্শনির্ভর একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

বিএনপি ধর্মনিরপেক্ষ কঠোরতা বা ধর্মীয় উগ্রতাকে প্রত্যাখ্যান করে। দলটি রাষ্ট্র গঠনে ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির অঙ্গীকার করে। জিয়াউর রহমান বিশ্বাস করতেন, ‘আমরা বাঙালি, কিন্তু তার চেয়েও আগে আমরা বাংলাদেশি। ’

বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বিএনপিকে শুধু রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলন বলে বিবেচনা করেছেন, যার মূল শক্তি নিহিত জনগণের অন্তরে। তাঁর মতে, বিএনপি জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র নির্মাণ এবং ধর্ম-সংস্কৃতির ভারসাম্যের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়েছে।

বিএনপি মধ্যপন্থার রাজনীতির অনুসারী। এটি চরম বাম বা চরম ডানের পথে হাঁটে না। বরং ব্যক্তি উদ্যোগ ও ধর্মীয়-সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি সম্মান জানিয়ে মধ্য-ডান অবস্থান এবং সমাজকল্যাণমূলক রাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে মধ্য-বাম গুণাবলি ধারণ করে। একদিকে দলটি ব্যক্তিস্বাধীনতা, বাজার অর্থনীতি ও নিরাপত্তার বিষয়ে দৃঢ়; অন্যদিকে কৃষক, শ্রমিক, নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বার্থে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রনীতিকে সমর্থন করে। এই দ্বৈত দৃষ্টিভঙ্গি বিএনপিকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ‘প্রগতিশীল-সংরক্ষণশীল’ শক্তি হিসেবে গড়ে তোলে, যা যুক্তিনির্ভর, সহনশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক।

বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন-উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীলতা, অবকাঠামো উন্নয়ন, নারীশিক্ষা প্রসার ও গ্রামীণ জনজীবনের উন্নয়নে দলটির অবদান এখনো অনেকের মনে রয়েছে। দলটির দার্শনিক ভিত্তি মানবিকতা, আত্মপরিচয়, সহনশীলতা এবং জনগণের সার্বভৌমত্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত। আজকের বৈশ্বিক সংকট ও দেশে গণতান্ত্রিক স্থবিরতার প্রেক্ষাপটে বিএনপির মধ্যপন্থার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি নতুন করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। সার্বিকভাবে বিএনপি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি এক দার্শনিক ও সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা। যেখানে জাতীয় ঐক্য, ধর্মীয় ও সামাজিক সহাবস্থান, অর্থনৈতিক ভারসাম্য এবং গণতান্ত্রিক প্রতিশ্রুতির সম্মিলন রয়েছে। বর্তমান বিভাজন ও উগ্রপন্থার যুগে বিএনপির এই অন্তর্ভুক্তিমূলক দর্শন একটি বাস্তবসম্মত ও মানবিক রাজনৈতিক পথরেখা হিসেবেই বিবেচিত হতে পারে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার রক্ষা এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকা অনন্য। ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর বিএনপি এক কঠিন রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। এমন এক অনিশ্চয়তা ও শোকাবহ সময়ে খালেদা জিয়া দলের হাল ধরেন এবং অত্যন্ত দৃঢ়তা ও কৌশলে দলকে পুনরুজ্জীবিত করেন। তিনি শুধু বিএনপির নেতৃত্ব গ্রহণ করেননি, বরং জিয়াউর রহমানের উদ্ভাবিত ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির মর্মবাণী ধারণ করে তাকে নব-উজ্জীবিত করে তোলেন। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি গণমানুষের স্বার্থরক্ষায় এক শক্তিশালী গণসংগ্রামী প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়, যা দলটিকে শুধু একটি রাজনৈতিক সংগঠন নয়, বরং একটি জাতীয় আন্দোলনের রূপ দেয়। বিশেষত নারীশিক্ষা ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়ার অবদান উল্লেখযোগ্য। দেশের ইতিহাসে তিনি প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নারীর অধিকার, শিক্ষা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন। তাঁর নেতৃত্ব নারীদের শুধু ভোটার বা সমর্থক হিসেবে নয়, বরং নীতিনির্ধারক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়ক হয়।

বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি বিস্তারে খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব ছিল কার্যকর ও সুপরিকল্পিত। দলকে তিনি মাঠ পর্যায়ে সুসংগঠিত করে একটি জবাবদিহিমূলক ও সক্রিয় বিরোধী শক্তিতে পরিণত করেন। বারবার নির্বাচন, আন্দোলন ও রাষ্ট্রীয় চাপে থেকেও বিএনপিকে তিনি টিকিয়ে রেখেছেন তাঁর ব্যক্তিত্ব, কৌশল এবং আদর্শিক দৃঢ়তার মাধ্যমে।

গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে বেগম খালেদা জিয়া হয়ে উঠেছেন এক অনন্য প্রতীক। তিনি বারবার রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহার, নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে অনিয়ম, মতপ্রকাশের অধিকার হরণ ও বিচার বিভাগের রাজনৈতিক ব্যবহার—এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছেন। তাঁর সময়কালে বিএনপি দেশের গণতন্ত্রকে কার্যকর রাখতে বিরোধী দল ও জনগণের অংশগ্রহণমূলক রাজনীতিকে গুরুত্ব দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনৈতিক নেত্রী নন, তিনি একজন আদর্শবাহী সংগঠক, নারী অধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার প্রতিভূ।

অন্যদিকে শহীদ জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমান বিএনপিকে আধুনিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তিতে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি আজ ‘গণমানুষের দল’ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছে— যেখানে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, নারী, সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার সমানভাবে গুরুত্ব পায়।

তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন ‘সবার বাংলাদেশ’—একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও মানবিক রাষ্ট্রের রূপরেখা। তিনি বিশ্বাস করেন, গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন নয়, বরং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও জনগণের অংশগ্রহণই প্রকৃত গণতন্ত্রের ভিত্তি।

তারেক রহমান শহীদ জিয়ার জাতীয়তাবাদকে সময়োপযোগী রূপান্তরের মাধ্যমে জন-আকাঙ্ক্ষার রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর করেছেন। এখানে রাষ্ট্রব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে জনগণ—নয় কোনো পরিবার, গোষ্ঠী বা ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল বা নেতৃত্ব। এই দর্শন তরুণসমাজের কাছে বিএনপিকে আরো গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।

মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশে বিএনপি আত্মপরিচয়ের পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দলটি দারিদ্র্য বিমোচন, অর্থনৈতিক সমতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও সামাজিক ন্যায়বিচারকে রাজনীতির মূল উপজীব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৯৯১ সালে দেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ঘটে। কিন্তু ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিরোধী দলের দমন, প্রাতিষ্ঠানিক দলীয়করণ, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে দেশে এক ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে হাজারো প্রাণের বিনিময়ে একটি নতুন রাজনৈতিক জাগরণ শুরু হয়। ২ মে ২০২৫-এ তারেক রহমান স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের চারটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক—১৯৭১ সালের স্বাধীনতা, ৭ নভেম্বরের মুক্ত বাংলাদেশ, ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী বিজয় এবং ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণজাগরণ। সবগুলোর কেন্দ্রে রয়েছে জনগণের আত্মত্যাগ ও গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা।

তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি কৃষক, দরিদ্র, শ্রমজীবী ও যুবকদের জন্য ন্যায্য মূল্য, সহজ ঋণ, সামাজিক সুরক্ষা, বেকার ভাতা ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করবে। ৩১ দফার কর্মসূচির মাধ্যমে বৈষম্যহীন অর্থনীতি ও জনবান্ধব কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কৃষক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, আয়বৈষম্য কমানো এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হবে।

তারেক রহমানের দৃষ্টিতে নতুন প্রজন্মের জন্য প্রয়োজন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সম্প্রীতিমূলক, নিরাপদ ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা, যেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সুশাসন ও মানবিক মূল্যবোধ থাকবে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত। ‘সবার বাংলাদেশ’ হলো সেই স্বপ্ন, যেখানে জনগণই হবে রাষ্ট্রক্ষমতার প্রকৃত মালিক।

বিএনপি আজ আর শুধু অতীতনির্ভর একটি দল নয়; এটি ভবিষ্যতের একটি রূপকল্প। তারেক রহমানের চিন্তা, রাজনৈতিক কৌশল এবং মানবিক রাষ্ট্রচিন্তা দলটিকে পরিণত করছে একটি আধুনিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং গণমানুষের স্বার্থে নিবেদিত রাজনৈতিক শক্তিতে। তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠবে এমন এক বাংলাদেশ—যেখানে থাকবে মুক্তি, ন্যায্যতা এবং মানবিক মর্যাদার নিরবচ্ছিন্ন সুর।

লেখক: যুগ্ম সম্পাদক, কালের কণ্ঠ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।