ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ সফর ১৪৪৭

মুক্তমত

আধুনিক বিশ্বে সর্ববৃহৎ দখলদার রাষ্ট্র ভারত

মাহবুব আলম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২৩, আগস্ট ৭, ২০২৫
আধুনিক বিশ্বে সর্ববৃহৎ দখলদার রাষ্ট্র ভারত ১৯০৯ সালের ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান সাম্রাজের একটি মানচিত্র, যেখানে পণ্ডিচেরিকে ফরাসি এলাকার অন্তর্গত হিসেবে চিহ্নিত করা আছে।

প্রায় এক দশক আগে চন্দননগর ভ্রমণে গিয়েছিলাম। গঙ্গার ধারে পুরনো একটা ঐতিহাসিক শহর।

এই ভ্রমণে আমার সঙ্গী ছিলেন ঢাকার এক সাংবাদিক খালেদ ফারুকী ও কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার অনমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এই ভ্রমণের সময় আমাদের গাইড ছিলেন অধ্যাপক বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বনাথ বন্দোপাধ্যায় বেশ রসিক জন। কথা প্রসঙ্গে বললেন, “আমি যখন বিয়ে করলাম তখন সবাই বলতো বিদেশি বিয়ে করেছি। বউকে বলতো বিদেশি বউ। কারণ আমার বউ ছিল হাওড়ার মেয়ে, ভারতের মেয়ে। আমিও বউকে আদর করে বলতাম বিদেশি বউ। কিন্তু হায়! কিছুদিনের মধ্যে বিদেশি বউ স্বদেশি হয়ে গেল। কারণ চন্দননগর ভারতের হয়ে গেল। হয়ে গেল পশিচমবঙ্গের। তাও একটা মহকুমার মর্যাদায়। ”

ভদ্রলোক আরও জানালেন, ১৯৪৭ সালের পর চন্দননগর বেশ কয়েক বছর স্বাধীন ছিল। সে সময় চন্দননগরে উড়তো উদিত সূর্যের স্বাধীন চন্দননগরের পতাকা। স্বাধীন চন্দননগর জাদুঘরে অনেক কিছু থাকলেও এর কোনো কিছুই নেই।

চন্দননগর ছিল ভারতবর্ষে ৫টি ফরাসি উপনিবেশের একটি। অন্য উপনিবেশগুলো হচ্ছে—বঙ্গপোসাগরের তীরে পণ্ডিচেরি, করাইকল, ইয়ানায়ন (ইয়ানাম) ও মালাবার উপকূলে মাহে। ১৯৪৭ সালের মধ্য আগস্টে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পর ইংরেজরা ভারতবর্ষ ছেড়ে যায়। এ সময় ভারতবর্ষের ফরাসি উপনিবেশগুলোতে স্বাধীনতার দাবি জোরদার হয়। স্বাধীনতার দাবি জোরদার হয় পর্তুগিজ উপনিবেশগুলোতেও।

১৯৪৮ সালে স্বাধীন চন্দননগরে সরকার পরিচালনার জন্য একটি কাউন্সিল বা পরিষদ গঠিত হয়। এই পরিষদ উদিত সূর্যের স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করে। এই ঘটনায় ফরাসি সরকার চন্দননগরের নবগঠিত কাউন্সিলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর বা স্বাধীনতার বিষয়ে এক ধরনের সম্মতি দেয়। তবে এই স্বাধীনতা শুধু মাত্র চন্দননগরে একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য নাকি ভারতে তাদের সকল উপনিবেশকে নিয়ে একটি একক রাষ্ট্র গঠন, এই নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে। কিন্তু ভারতের প্রাধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে চন্দননগরসহ অন্যান্য স্থানগুলোর প্রতিও। তারই ফলশ্রুতি হলো—ফ্রান্স সরকারের কিছু করার আগেই ভারত চন্দননগর দখল করে নেয়। ৩৩ লাখ জনঅধ্যুষিত চন্দননগর পশ্চিমবঙ্গের অর্ন্তভুক্ত হয়ে গেল। সেই সঙ্গে অন্যান্য ফরাসি উপনিবেশগুলোও দখল করে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শুধু ফরাসি উপনিবেশ নয়, ভারতের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পর্তুগিজ ও ডাচ অর্থাৎ ওলন্দাজ উপনিবেশগুলোও দখল করে নেয় পর্যায়ক্রমে। এগুলো হচ্ছে—নোভা, কোবি, ব্যান্ডেল ও গোয়া। গোয়া দখল করে ১৯৬১ সালে। অবশ্য, পর্তুগাল ভারতের এই দখল মেনে নেয়নি ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত।

একইভাবে ভারতের ফরাসি উপনিবেশগুলো দখলের জন্য ফ্রান্স ভারতকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে। নেহেরু সরকারের পক্ষ থেকে অনেক দেন-দরবার করার পর ১৯৬২ সালে ফ্রান্স ভারতকে স্বীকৃতি দেয়।

ভারতবর্ষের ফরাসি, পর্তুগিজ, ডাচ উপনিবেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় রাজ্যগুলোও দখল করে নেহেরুর ভারত। দেশীয় রাজ্য বলতে বোঝায়—ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্গত মৌখিকভাবে সার্বভৌম রাজ্য। ব্রিটিশরা সরাসরি এই রাজ্যগুলো শাসন করতো না, এসব রাজ্য বিভিন্ন সময় ব্রিটিশ আধিপত্য মেনে নিয়ে স্থানীয় শাসকদের অধীনে পরিচালিত হতো। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার সময় ভারতর্বষের বিভিন্ন স্থানে ৫৬৫টি দেশীয় রাজ্যের অবস্থান ছিল। যাকে ইংরেজিতে বলা হতো Princely States। এগুলোর মধ্যে ২১টি রাজ্যের বাস্তবিক সরকার ছিল। যার মধ্যে ৪টি ছিল বৃহত্তম রাজ্য। এগুলো হলো—হায়দ্রাবাদ, মহীশূর, বরোদা এবং জম্মু ও কাশ্মীর। ১৯৪১ সালের জনগণনা অনুযায়ী হায়দ্রাবাদের জনসংখ্যা ছিল ১ কোটি ৬০ লাখ। আর আয়তন ছিল ৭৭ হাজার বর্গমাইল, যা বাংলাদেশের আয়তনের থেকেও অনেক বেশি। এই রাজ্যগুলোর প্রায় সবগুলো দখলের জন্য সদ্যস্বাধীন ভারত নানান কূটকৌশল অবলম্বন করে। এ ক্ষেত্রে শুরুতেই হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করে। এতে ছোট ছোট রাজ্যের রাজা-মহারাজা-নবাবরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করেন এই শর্তে যে, তারা অতীতের ব্রিটিশ রাজদের মতোই ভারত সরকারকে কর দেবেন। কিন্তু ভারত এ বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্যের সাথে বিভিন্নভাবে চুক্তি করলেও শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি দখল করে রাজা, মহারাজা, নবাব, নিজামদের উৎখাত করে। অবশ্য, ভারত সরকার তাদের আনুগত্যের বিনিময়ে পেনশন দেয়, যাকে বলা হতো রাজন্যভাতা। ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ভারত এই রাজন্যভাতা দিয়েছে। ‘৭২ সালে ইন্দিরা গান্ধীর শাসনামলে এই রাজন্যভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অধিকাংশ রাজ্য ভারতের হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মুখে নতি স্বীকার করলেও অনেক রাজ্য ভারতের ভয়-ভীতি, হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে নিজেদের স্বাধীন রাজ্য হিসেবে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। এসব রাজ্যগুলো মধ্যে হায়দ্রাবাদ, জুনাগড়, জুম্ম ও কাশ্মীর, বরোদা অন্যতম। নেহেরুর নেতৃত্বাধীন ভারত পুলিশ ও সেনাবাহিনী দিয়ে এসব রাজ্য দখল করে নেয়। সর্বশেষ দখল করে সিক্কিম বা সিকিম। ১৯৭০ সালে সিকিমের প্রাধানমন্ত্রী লেং দুং দর্জিকে হাত করে ওই দেশে এক পার্লামেন্টারি ক্যু করে ভারত সিকিম দখল করে। এই দখলের ক্ষেত্রে ভারত নানামুখী কূটকৌশল প্রয়োগ করেছে, যা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন, একেবারে বাংলাদেশের পেটের ভেতরেও বলা যায়, সেই ত্রিপুরাকে দখল করে রীতিমতো মুনাফেকি করে।

ত্রিপুরা ছিল ভারতের প্রাচীন দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে একটি। রাজমালা (ত্রিপুরার রাজাদের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ) অনুসারে, এই রাজ্যের শেষ শাসক রাজা বীর বিক্রম কিশোর দেববর্মার মৃত্যুর পর ১৯৪৯ সালে ভারতের দখল হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সার্বভৌম এবং স্বাধীন মর্যাদাসম্পন্ন ত্রিপুরায় ১৮৪ জন ত্রিপুরী রাজা রাজত্ব করেছিলেন। ১৯৪৯ সালে ভারতের দখলের সময়ে তার উত্তরসূরী কিরীট বিক্রম কিশোর দেববর্মণের বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। রাজা বীর বিক্রম কিশোর দেববর্মণ ১৯৪৭ সালে মারা গেলে কিরীট বিক্রম কিশোর দেববর্মণের মা তথা রানী কাঞ্চন প্রভা দেবীর সভাপতিত্বে প্রশাসন পরিচালনার জন্য একটি কাউন্সিল অব রিজেন্সি (রাজপ্রতিনিধিত্ব পরিষদ) গঠন করা হয়।

রাজা বীর বিক্রম কিশোর দেববর্মণের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কয়েক মাসের মধ্যে, ত্রিপুরা অভ্যন্তরীণ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ে। এই সময় রানী প্রভা দেবী পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ভারতীয় অধিরাজ্যে যোগদানের পক্ষে প্রবল চাপের সম্মুখীন হন। ভারত সরকারের পরামর্শ মতো, তিনি রিজেন্সি কাউন্সিল ভেঙে দেন এবং ১৯৪৮ সালের ১২ জানুয়ারি ত্রিপুরার একমাত্র রাজপ্রতিনিধি হয়ে ওঠেন। এক বছরেরও বেশি সময় পর ১৯৪৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রানী প্রভা দেবী ত্রিপুরা অন্তর্ভুক্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এবং এই চুক্তি ওই বছর ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়। ফলস্বরূপ ত্রিপুরা ভারতীয় অধিরাজ্যের অংশীভূত হয়। কিন্তু ভারত বিশ্বাসঘাতকতা করে ১৯৫৭ সালে ত্রিপুরাকে ভারতের পূর্ণ রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করে কিরিট বিক্রম কিশোরকে ত্রিপুরা থেকে শিলংয়ে নির্বাসনে পাঠায়, সেই সঙ্গে তার রাজবাড়িসহ সকল ধন-সম্পদ দখল করে নেয়।

ভারত বিভিন্ন সময় যে পাঁচ শতাধিক দেশীয় রাজ্যকে দখল করে নেয় তার সংক্ষিপ্ত তালিকা:
বরোদা, গওয়ালিয়র, হায়দ্রাবাদ, জম্মু ও কাশ্মীর, মহীশূর, ভোপাল, ইন্দোর, কলাত, কোলহাপুর, ত্রিভাঙ্কুর, উদয়পুর, বাহাওয়ালপুর, ভরতপুর, বিকানের, বুঁদি, কোচিন, কচ্ছ, জয়পুর, যোধপুর, করৌলী, কোটা, পাটিয়ালা, পুদুক্কোত্তাই, রেওয়া, টোঁক, আলওয়ার, বাঁসওয়াড়া, দতিয়া, দেওয়াস, ধার, ঢোলপুর, দুঙ্গারপুর, ইডর, জয়সলমের, খৈরপুর, কিষানগড়, ওর্ছা, প্রতাপগড়, রামপুর, সিক্কিম, সিরোহী, বারাণসী, ভবনগর, কোচবিহার, ধ্রাঁগধ্রা, জাওরা, ঝালাওয়াড়, জিন্দ, জুনাগড়, কপূরথলা, নাভা, নওয়ানগর, পালনপুর, পোরবান্দর, রাজপিপলা, রতলাম, ত্রিপুরা, অজয়গড়, আলীরাজপুর, বাওনি, বরওয়ানী, বিজাওয়ার, খম্ভাত, চম্বা, চরখারী, ছতুরপুর রাজ্য, চিত্রল, ফরিদকোট, টিহরী গড়ওয়াল, গোন্ডল, কহলুর, জঞ্জিরা/জাফরাবাদ, ঝাবুয়া, মলেরকোটলা, মণ্ডী, মণিপুর, মোরবী, নরসিংহগড়, পন্না, রাধনপুর, রাজগড়, সৈলানা, সম্থার, সির্মূর, সীতামৌ, সুকেত, ওয়াঙ্কানের, বালাসিনোর, বঙ্গনাপল্লে, বাঁসদা, বারৌধাঁ, বারিয়া, ভোর, ছোটা উদয়পুর, দাঁতা, ধরমপুর, ধ্রোল, জওহর, কালাহাণ্ডী, খিলচীপুর, লিম্বাদী, লোহরু, লুনাবদা, মৈহর, ময়ুরভঞ্জ, মুধোল, নাগোড়, পালিতানা, পাটনা, রাজকোট, সচিন, সাংলী, সন্ত, সাওয়ান্তওয়াড়ী, শাহপুরা, সোনপুর, ওয়াধওয়ান, ন্যোং শোয়ে।

একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, আধুনিক বিশ্বে ভারত সবচেয়ে বড় দখলদার রাষ্ট্র। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশের অনেক ভূখণ্ডও তারা দখল করে নেয়। ভারত ভাগের পর তিনদিন পর্যন্ত সেখানে পাকিস্তানের পতাকা উত্তলিত ছিল। ৪৭ সালে বাংলাভাগের সময় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ, মালদাহ, নদীয়া ও সিলেট জেলা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভাগে পড়েছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে বাউন্ডারি কমিশনের ওপর প্রভাব খাটিয়ে জওহরলাল নেহেরু মুর্শিদাবাদ ও মালদাহ জেলার পুরোটাই ভারতের অংশ করে নেন। সেই সাথে যশোর জেলার বনগাঁ, সিলেট জেলার করিমগঞ্জ মহকুমাকে কেটে নিয়ে ভারতের ভেতরে ঢুকিয়ে দেন। আর নদীয়া জেলার অর্ধেক দখল করে নেন। সবশেষে আশির দশকে দক্ষিণ তালপট্টি দখল করে। দখলদার ভারতের ভূমি দখলের খায়েশ এখনো মেটেনি। ওদের লোলুপ দৃষ্টি রয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি। তার সবেচেয়ে বড় প্রমাণ অখণ্ড ভারত গঠনের ঘোষণা। গোপনে নয়, ভারত প্রকাশ্যেই এই ঘোষণা দেয় সুযোগ সুবিধামতো। আর এ কাজে ভারত এক শ্রেণির অর্থলিপ্সু বিবেক বর্জিত মেরুদণ্ডহীন বুদ্ধিজীবীদের ভাড়া করে যাচ্ছেতাই লেখাচ্ছে। আর গোপনে নাগপুরে আরএসএস-এর সদর দপ্তরে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছর ধরে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করে যাচ্ছে। এরই প্রতিচ্ছবি দেখা যায় ভারতের নবনির্মিত পর্লামেন্ট ভবনের সম্মুখে অখণ্ড ভারতের মানচিত্র স্থাপনে। যে মানচিত্রে বাংলাদেশ, পাকিস্তান নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, এমনকি মিয়ানমারকেও ভারতের অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছে। সম্প্রতি এই অখণ্ড ভারতের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ন্যক্কারজনকভাবে।

মাহবুব আলম: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।