গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে বেকারত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। এই বেকারত্বের দায় কার? কাজ হারানোর পর স্বাভাবিকভাবেই বেকার শ্রমিকদের মনে হতাশা তৈরি হয়েছে।
বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলোর মধ্যে অনেক কারখানার মালিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাও ছিলেন। তাদের অনেকে পলাতক, কেউ কেউ জেলে। রাজনৈতিক কারণে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিক ক্ষতি যেমন হচ্ছে, তেমনি সমাজে অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর প্রভাব শুধু দেশে নয়, বিদেশেও ভাবমূর্তি সংকটে পড়বে।
অর্থনীতির সঙ্গে অপরাধের সংযোগ রয়েছে। মানুষ অর্থের জন্যই অপরাধ করে। কেউ যখন বেকার হয়ে পড়ে তখন কীভাবে তিনি অর্থ উপার্জন করে সংসার চালাবেন সেদিকেই বেশি মনোযোগী হন। ফলে অনেকের অতীতের অপরাধের রেকর্ড না থাকলেও অপরাধে জড়িয়ে যান।
এ অবস্থা থেকে এখনই উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। গাজীপুর, সাভারের মতো ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকাগুলোতে সরকারের বাড়তি নজর দেওয়া উচিত। যে কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলো চালু করে অথবা সরকার আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ দিয়ে বেকারত্ব দূর করতে পারে।
লেখক: অধ্যাপক, অপরাধ ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগ, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।