ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

নাশকতা ছেড়ে গণতন্ত্রের পথে আসুন

প্রফেসর মোঃ আনোয়ারুল আজিম আরিফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৪
নাশকতা ছেড়ে গণতন্ত্রের পথে আসুন ছবি: বাংলানিউজ ফাইল ফটো

সন্ত্রাস ও নাশকতাকে পদদলিত করে বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকে আবারও বিজয়ী করেছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে। গত বুধবার মহান দশম জাতীয় সংসদের ঐতিহাসিক সূচনা হয়েছে।

উদ্বোধনী অধিবেশনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা সময়োপযোগী এবং তাৎপর্যপূর্ণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সন্ত্রাস আর নাশকতার বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের পক্ষে পুরো বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। ফলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারার বিরুদ্ধে অপশক্তির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পথযাত্রা অব্যাহত রয়েছে।
বিগত কিছুদিন সন্ত্রাসী ও বোমাবাজদের ভয়ংকর থাবার নিচে অসহায়ভাবে বসবাস করছে বাংলাদেশের মানুষ। সরকারের যথোপযুক্ত পদক্ষেপে সেই বিভীষিকার অবসান হয়েছে। সন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। এ বিজয় বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের বিজয়।

বাংলাদেশের মত গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও জোটনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের নাগরিকদের সামনে মূর্তিমান বিভীষিকার মত এসব অবৈধ বোমা-অস্ত্র, সন্ত্রাস ও অরাজকতার দানবকে অজ্ঞাত স্থান থেকে অজ্ঞাত বা আরোপিত পরিচয়-মাখিয়ে লেলিয়ে দেওয়াটা অত্যন্ত দু:খজনক ও অনাকাঙ্ক্ষতি। দেশের ভেতর বা বাইরে থেকে যারাই এই অশান্তিবাদী অপকর্মটি করে থাকুক না কেন, তারা ঘৃণার পাত্র,  উচ্চকণ্ঠে নিন্দা পাবার উপযুক্ত। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এহেন নাশকতার স্থান নেই। জনগণের সমর্থনও নেই সন্ত্রাসের প্রতি। জনগণ শান্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা চায়। গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের সেইসব মৌলিক অধিকারকে নিশ্চিত করেছে, যা সংবিধান ও আইন মানুষকে দিয়েছে। অতএব জনগণকে বিপদে ফেলে যারা রাজনীতি করতে চায়, তাদেরকে সতর্ক হতে হবে। কারণ রাজনীতি করতে হবে সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে। সন্ত্রাস ও অরাজকতার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাজনীতি করা যায় না। এমনটি করলে পরাজয় অবশ্যম্ভাবী।  

বাংলাদেশের মত জনবহুল, গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ দেশের জন্য সন্ত্রাস বা অস্ত্র কোনো সমাধান নয়। ১৯৭১ সালে অস্ত্রের ব্যর্থতা ইতিহাস চাক্ষুষ করেছে। নিরীহ বাঙালিদের ওপর অকাতরে অস্ত্র চালিয়ে দেওয়ার ফলাফল ভোগ করেছে পাকিস্তানি অগণতান্ত্রিক, জনবিরোধী শাসকশ্রেণি। স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ সেই কুৎসিত অস্ত্রবাজদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। আজকেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বল গণতান্ত্রিক-নিয়মতান্ত্রিক বাংলাদেশ সন্ত্রাস-নাশকতা-অস্ত্রকে পদানত করতে প্রস্তুত। বাংলাদেশের লড়াকু মানুষ সন্ত্রাস-নাশকতার বিরুদ্ধে গিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির পক্ষে থেকে আবারও সেটা প্রমাণ করেছেন।  

সমগ্র জাতির আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাস নির্মূল করার কাজে সফলতা অর্জনের জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন রাজনৈতিক অঙ্গীকার। বিশেষত গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী দলগুলোকে এ সত্য উপলব্ধি করতে হবে যে, শক্তি ও সন্ত্রাস গণতন্ত্রের ভাষা নয়। গণতন্ত্রের শক্তি জনগণ। অস্ত্র, বোমাবাজি বা সন্ত্রাস নয়। প্রতিপক্ষ বা সংখ্যালঘুদের নির্বিচারে হামলা করাও গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য সহায়ক নয়। যারা শক্তি, অস্ত্র, বোমাবাজি কিংবা মানুষ মেরে রাজনৈতিক বিজয় অর্জন করতে চেয়েছিল, তারা কখনওই সফল হতে পারবে না। কারণ ইতিহাস সব সময়ই গণতন্ত্র ও মানুষের পক্ষে; সন্ত্রাস ও শক্তিবাদের বিপক্ষে।

একজন শিক্ষক হিসাবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস ও আশা করি যে,  সকলের মধ্যে এই রাজনৈতিক শিক্ষা ও বিশ্বাস বদ্ধমূল হওয়া দরকার যে, অস্ত্র বা শক্তি দিয়ে জনগণের ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করা কিংবা ধরে রাখা সম্ভব নয়। বিপুলা পৃথিবীর বিশাল ইতিহাসে কেউই তা কখনোই করতে পারে নি। অতএব এমন জলঘোলা করা জটিল ও দিকভ্রান্ত্র¿ পরিস্থিতি থেকে প্রকৃত বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে সংশ্লষ্টিদের অবশ্যই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে ফিরে আসতে হবে: এবং তা করতে হবে তাদের নিজেদের স্বার্থেই। আর যারা পরিস্থিতি জটিল করছে, তারা যে দলের বা যত বড় মাপেরই হোক, তাদেরকেও এসকল ঘটনার অনুঘটক বা প্রত্যক্ষ সাহায্যকারী হিসাবে ইতিহাস নির্মমভাবে চিহ্নিত করবে। বাংলাদেশের যে ইতিহাস ও ঐতিহ্য, তাতে মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনার বিরুদ্ধে রাজনীতির বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই। জনগণের বিরুদ্ধের রাজনীতিও এখানে অচল। যারা বাংলাদেশে রাজনীতি করেন, তাদেরকে এই ঐতিহাসিক সত্য অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে। এ বোধোদয় না হলে জনগণের সমর্থনভিত্তিক রাজনৈতিক সাফল্য তারা পাবেন না।  

রাজনীতিতে ও সমাজের মধ্যে সন্ত্রাস ও অস্ত্র বিরোধী তৎপরতা পরিচালনার করার পর আরো  যে বিপদটি থেকে যায়, তা আন্তর্জাতিক অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী  ও চোরাকারবারীদের দিক থেকে হতে পারে। অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশকে নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী  ও চোরাকারবারীদের পক্ষে অসম্ভব নয়। বর্তমান বিশ্বে যে অস্থিরতা ও উত্তেজনা বিরাজ করছে, তাতে অনেক দেশেই অস্ত্রের বিরাট প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশ যদিও সব সময় আন্তর্জাতিক সমস্যা ও সংকট থেকে নিজেকে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ অবস্থানে সরিয়ে রেখেছে, তথাপি এক্ষেত্রে আরও সতর্কতা প্রয়োজন। অন্য কেউ যেন তার সমস্যা বাংলাদেশের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে আমাদের বিপদের মধ্যে ফেলতে না পারে, সেজন্য সম্ভাব্য সকল প্রতিষেধক ব্যবস্থা গ্রহণই কাম্য। সরকার এ ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ অবশ্য গ্রহণ করবেন।

তদুপরি অস্ত্র, সন্ত্রাস, বোমাবাজির বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ওপর আমাদেরকে গুরুত্ব দিতে হবে। অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসের মত ব্যাপক ও ভয়াবহ সমস্যা কেবল সরকারি ঘোষণা ও প্রশাসনিক উদ্যোগের মাধ্যমে সমাধান করা যাবে বলে মনে করার কারণ নেই। সন্দেহ নেই, সরকারি ঘোষণা ও প্রশাসনিক উদ্যোগ অবশ্যই থাকতে হবে; জোরদারভাবেই থাকতে হবে। আর যখন সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের মাধ্যমে একটি সর্বাত্মক ঐক্য ও সংকল্প সূচিত হবে, তখন সরকারি ঘোষণা ও প্রশাসনিক উদ্যোগের সাফল্য বহুলাংশে নিশ্চিত হবে। জনগণের জান, মাল, নিরাপত্তা, শান্তি নিশ্চিত হয়। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও ব্যবস্থা সুদৃঢ় হয়। বাংলাদেশের জাতীয় ঐকমত্যের প্রতীক হিসাবে জননেত্রী-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্যতার সঙ্গেই সকল গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে একতাবদ্ধ করছেন। তার নেতৃত্বে সমগ্র জাতি আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিকভাবে ঐক্যবদ্ধ।  

আমাদের দুর্ভাগ্য যে এমন ইতিবাচক জাতীয় ঐকমত্যের বিরুদ্ধে কিছু হীন স্বার্থবাদী গোপনে কাজ করছে। এমন অপতৎপরতা কেবল এদেশেই অসম্ভব। আমাদের দেশে জাতীয় দুর্যোগের সময় সকল রাজনৈতিক দলকে খুব কমই হাতে হাত রেখে কাজ করতে দেখা যায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের চিত্র কিন্তু ঠিক উল্টো। কারগিলে যখন যুদ্ধ লেগে গেল, তখন জাতিকে উদ্ধার করার জন্য ভারতের সব ক‘টি রাজনৈতিক দলই বাজপাই সরকারের আমন্ত্রণে আলোচনার টেবিলে এসে বসেছিল এবং সমস্যার সমাধানে ঐক্যবদ্ধ পথ খুঁজে পেয়েছিল। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য সমগ্র জাতির মধ্রে তীব্র আবেগ ও ঐক্য সূচিত করেছিল।

অন্যদিকে, নিজেদের মধ্যে নানান মত ও সমালোচনা থাকার পরেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ব্রিটেনের সকল রাজনৈতিক দলই মধ্যপ্রাচ্য, ইরাক, আফগানিস্তান বা সন্ত্রাস-বিরোধী কাজে নিজ নিজ সরকারকে নৈতিক সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। কোনো ডেডলক তৈরি করে সরকারকে বিপাকে ফেলতে চায় না সেসব দেশের বিরোধীরা। আশার কথা এই যে, প্রধানমন্ত্রী একটি ব্যাপকভিত্তিক ঐকমত্যের সূচনা করেছেন। দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থে এখন বাংলাদেশেও রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার কিছু ক্ষেত্র চিহ্নতি করতে হবে। যেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতার ঠাঁই থাকবে না। সন্ত্রাস ও নাশকতার কোনও জায়গা থাকবে না। গণতন্ত্রের বিধিবদ্ধ নিয়মের বাইরে ষড়যন্ত্রের কানাগলিতে যাওয়ার কোনও সুযোগ কারও জন্যই থাকবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে মহান দশম জাতীয় সংসদ জাতির আশা-আকাক্সক্ষায় টেকসই ও সুদূরপ্রসারী জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তি রচনা করবে বলেই সকলে আশা করছেন।

যারা ঐকমত্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, শিক্ষা, সমাজ, অর্থনীতি  ও রাজনীতির অঙ্গনে সন্ত্রাস ও বিধ্বংসী অস্ত্রের ভয়ংকর থাবার নিচে মানুষের অসহায় বসবাস দেখে তারা নিশ্চুপ ও নির্লিপ্ত বসে থাকেন তাহলে তারা প্রচণ্ড ভুল করবেন। কারণ, অন্ধ হলে যেমন প্রলয় বন্ধ থাকে না, ‘নগরে আগুন লাগলে দেবালয়ও রক্ষা পায় না’। সন্ত্রাস ও অস্ত্রকে অবলম্বন করে প্রলয় ও আগুনের লেলিহান শিখায় প্রলম্বিত করা হলে সেটা তাদেরকেও গ্রাস করবে। মানুষকে বিপদে ফেলে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তারাই সবচেয়ে আগে বিপদের সম্মুখীন হবে। এটাই ইতিহাসের প্রমাণিত শিক্ষা। তাই জাতীয় ঐকমত্যের অনুসরণই সঠিক কাজ হবে তাদের জন্য।

এটা ঠিক যে, গণতন্ত্রের জন্য রাজনৈতিক দল লাগবে, বিরোধী দলও লাগবে। কিন্তু সেটা অবশ্যই গণতান্ত্রিক বিরোধী দল হতে হবে। তাদেরকে অবশ্যই সন্ত্রাস, বোমাবাজ ও অস্ত্রমুক্ত গণতান্ত্রিক দল হতে হবে। হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালিত এবং জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল। মহান দশম জাতীয় সংসদের সূচনায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি সে দিক-নির্দেশনাই দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সব সময় গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি তার নিরঙ্কুশ অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষই নাশকতামুক্ত গণতান্ত্রিক রাজনীতির কথা বলছে। বলছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মানুষের সম-অধিকারের কথা। উদার, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের কথা। বাংলাদেশের রাজনীতির এটাই দার্শনিক-মূলকথা।

অতএব যারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন বা হতে চান, তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দর্শনের মূলকথার বাইরে গিয়ে তৎপরতা চালালে সফলতা আসবে না। বাস্তবতার আলোকে নিজেদের পরিশুদ্ধ করে দেশের রাজনীতির জাতীয় ঐকমত্যের মূলস্রোতে মিলিত হওয়াই একমাত্র পথ। জনবিচ্ছিন্ন, জনসমর্থনহীন, সন্ত্রাস বা নাশকতার পথ সঠিক নয়। গণতন্ত্রের পথে এসে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার যে প্রত্যয় ও জাতীয় ঐকমত্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাদীপ্ত জনতা অতীতের মতো এবারও ঘোষণা করেছে, সে ঐক্যের গণতান্ত্রিক ঘোষণার সমবেত হওয়াই সকলের কর্তব্য।

 

লেখক: প্রফেসর মোঃ আনোয়ারুল আজিম আরিফ: মুক্তিযোদ্ধা, উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।


বাংলাদেশ সময় : ১৬৪০ ঘণ্টা, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।