শ্রীকৃষ্ণের জন্ম মথুরায়। রাজা কংস ছিলেন ভয়াবহ অত্যাচারী ও নিষ্ঠুর।
মানতে পারছি না। মানাতে পারছি না নিজেকে। এভাবে হয় না। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতিচিহ্নগুলো পুড়িয়ে ছাই করা হলো। সংস্কৃতির শহরকে রক্ষা করতে পারেনি প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। কিছু দিন আগে দেখেছি সব ধরনের সরকারি কর্মকর্তাকে মিছিল করতে। তখনই ভয়টা পেয়েছিলাম। মিছিল করার কাজ দলীয় নেতা-কর্মীদের। সরকারি কর্মকর্তাদের নয়। সরকারি কর্মকর্তাদের দায় মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা। আইনের শাসন রক্ষা করা। সরকার কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা। আজ সে দায়িত্ব পালন প্রশ্নবিদ্ধ। সরকারি দলের এমপি নিজেই প্রশ্ন তুলেছেন। ঘনিষ্ঠজনেরা পরামর্শ দিচ্ছেন কম কথা বলতে। তাই চুপচাপ বেড়াতে গেলাম এক বন্ধুর বাড়িতে। বন্ধু আমাকে দেখে মহাখুশি। বললাম আগেই রাজনীতি নিয়ে কথা হবে না। তিনি বললেন, আরে ভাই, রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা নেই। আসুন কুমিল্লার রসমালাই খাই। মুখে দিয়ে বুঝলাম আসল রসমালাই নয়। নকল রসমালাই নিয়েই বন্ধু খুশি। জানতে চাইলাম ঢাকা থেকে কিনেছেন? বন্ধু বলল, আরে না ভাই, চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে ফিরতে কিনে আনলাম। বুঝলাম ঢা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে কিনেছেন। হাসতে দেখে বন্ধু বলল, লেখা ছিল আসল মাতৃভান্ডার। ঢাকায় মাতৃভান্ডার আসলটা পাওয়া যায় না। এবার বললাম, এ মাতৃভান্ডার আসল নয়। নকল। চৌদ্দগ্রাম থেকে চান্দিনা কয়েক শ নকল মাতৃভান্ডার নামে মিষ্টির দোকান আছে। সবই নকল। আসল মাতৃভান্ডারের দোকানটি কুমিল্লা শহরে। ৫ কেজির বেশি একজনের কাছে বিক্রি করে না। লাইন ধরে মানুষ মিষ্টি কেনে। একবার একজন জেলা প্রশাসক মাতৃভান্ডারের মালিককে বললেন, আপনার দোকানের নামে নকল ব্র্যান্ড কুমিল্লা ছাড়িয়ে অন্য জেলায় চলে গেছে। শত শত নকল দোকান। অথচ আপনার কোনো শাখা নেই। চাইলে প্রশাসনিকভাবে বন্ধ করে দিতে পারি নকল দোকানগুলো। জবাবে মাতৃভান্ডারের মালিক বলেছিলেন, বিক্রি করে শেষ করতে পারছি না। প্রতিদিন যা চাহিদা এত উৎপাদন করতে পারি না। কেউ আমাদের ব্র্যান্ডের নামে খেয়ে-পরে থাকতে পারলে সমস্যা কী?
আওয়ামী লীগে এখন বিভিন্ন ঘাটের মানুষের সংখ্যা বেশি। ভাব আর কথায় তারা দলের ঠিকাদারি নিয়ে রেখেছেন। একটি দল দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকলে এমনই হয়। বিএনপি, জামায়াতের ৫ লাখ নেতা-কর্মী এখন সরাসরি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। মাঠ থেকে কেন্দ্রে ২ লাখের পদপদবি আছে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরও দলের ঠিকাদারি প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই। তারাও মাঝেমধ্যে মিছিল, সমাবেশ করে জানান দেয় সরকারি দলের লোক হিসেবে। আজব! উইপোকা শুধু কাঠ নয় মাটিও কাটে। উইপোকার মাটির ঢিবি দূর থেকে দেখতে অতীব সুন্দরই লাগে। ঝুরঝুরে এ মাটির স্থায়িত্ব নেই। ঘোড়া, হাতির দরকার নেই ছাগলের পায়ের ছাপে উইপোকার ঢিবি ভেঙে যায়। রাজনীতির মাটি উইপোকায় কেটে ঢিবি বানিয়েছে। সত্যজিৎ রায়ের ছবির নামের মতো, ‘অশনিসংকেত’ বার্তার নাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এ বার্তা কারও কানে না গেলে কিছু করার নেই। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অসহায়ত্ব দেখে মায়া লেগেছে। তারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করতে পারেনি। নিজেদের রক্ষা নিয়েও টেনশনে ছিল। রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদেরও ঘরবাড়ি পুড়েছে। ঢাকা অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ সাপের লেজ নিয়ে নাড়াচাড়ার দরকার ছিল না। সরকারি দলের দিন কাটছে আরাম-আয়েশে। ঘুরে দাঁড়ানোর মতো অবস্থায় এখন তারা আছে কিনা জানি না। দলে ত্যাগীদের অবস্থান নেই। দক্ষ ও শক্তিশালীরা হতাশার সমুদ্রে। অনেকে মানইজ্জতের সঙ্গে দিন কাটাতে পারলে খুশি। সুস্থধারার রাজনীতি না থাকলে দেশে অসুস্থধারার দাপট বাড়ে। মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে অসুস্থধারার প্রতি আকৃষ্ট হয়।
অনেক কিছু নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। পরীক্ষিত রাজনৈতিক শক্তি দরকার স্বাভাবিক স্রোতধারার জন্য। নকল আর ভেজাল দিয়ে কঠিন সময় মোকাবিলা করা যায় না। ভেজালরা আস্ফালন, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ দেখায় দলের অভ্যন্তরে। বাইরে তারা বিড়াল। দূরে যাব না। ২০১৪ সালে কঠিন একটা সময় পাড়ি দিতে হয়েছিল সরকারি দলকে। সে সময় দাপুটে অনেক মন্ত্রী-এমপি এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিলেন। র্যাবের তখনকার কর্মকর্তা জিয়ার কাছে তালিকা আছে। হেলিকপ্টার পাঠিয়ে তিনি অনেককে ঢাকা এনেছিলেন। সেসব দিনের কথা আজ আর কারও মনে নেই। আর মনে নেই বলে চারদিকে অশুভ তৎপরতা বেড়েছে। কমেনি সরকারি রাজনীতিতে নকলদের উৎসব। কঠিন আর জটিল পরিস্থিতি সামলানোর সক্ষমতা হাইব্রিড, নকলদের নেই। তারা মধু খেতে এসেছে। মধু খাওয়া শেষ হলে চলে যাবে। কোথায় কী হলো তা নিয়ে তাদের চিন্তা নেই। এ ধাক্কা খুবই সামান্য। সামনে আরও জটিলতা আসতে পারে। এখনই চোখে ক্লান্তি থাকলে পরেরগুলো কীভাবে সামলাবেন? ‘চাক দে ইন্ডিয়া’ ছবিতে নারী হকি টিমের কোচ ছিলেন শাহরুখ খান। শূন্য থেকে তিনি টিমকে এগিয়ে নেন। ধীরে ধীরে নিয়ে যান বিশ্বকাপে। পুরনো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের নানা আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের সাইড লাইনে বসিয়ে দেন। ফাইনালে এসে শাহরুখ বোঝেন জিততে হলে অভিজ্ঞদের দরকার। অন্যথায় জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা যাবে না। অভিজ্ঞদের ফাইনালে নামালেন কোচ শাহরুখ। জয় নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় শাহরুখ টিম। রাজনীতির সঙ্গে খেলার তুলনা করছি না। কিন্তু অনেক সময় দরকার হয় তুলনার। সব সংকটের সমাধান আছে।
আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েতের বিদায়ের কথা এখনো মনে আছে। দীর্ঘ সময়জুড়ে সোভিয়েত বাহিনী শক্ত অবস্থান নিয়েছিল আফগানিস্তানে। ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে আফগানিস্তানে প্রবেশ করল সোভিয়েত বাহিনী। তারা বলল, আফগান কমিউনিস্ট পার্টিকে রক্ষা করতে ঢুকেছে। থাকবে ছয় মাস। সেই সেনারা ছিল ১০ বছর। আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে জন্ম হয় বিভিন্ন মুজাহিদ বাহিনীর। বিশ্বরাজনীতির চালে আমেরিকা সমর্থন দিল তাদের। রাশিয়াকে বিতাড়িত করতেই ছিল কঠিন খেলা। সে খেলার আগুনে আফগানিস্তান পুড়তে থাকল। অনেক বাংলাদেশিও আফগানিস্তানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিলেন। মুজাহিদদের সহযোদ্ধা ছিলেন তারা। আফগানফেরত সেই যোদ্ধাদের তালিকা সরকারের সংস্থাগুলোর কাছে আছে কিনা জানি না। থাকলে কার কী অবস্থান পরিষ্কার করা দরকার। অনেক কিছুই এখন অনেকের মনে নেই। বাঙালি দ্রুত সব ভুলে যায়। বাংলাদেশের অনেক যুবক যুদ্ধ করতে গিয়েছিল লেবাননে। ফ্রীডম পার্টি আর জাসদ যেত লিবিয়ায় অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিতে। জাসদের সেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের কেউ কেউ হিজরত করে আওয়ামী লীগ করছেন। অনেকে গত ১২ বছরে এমপিও হয়েছেন। প্রভাবশালী অবস্থানে আছেন। বড় অদ্ভুত রাজনৈতিক সব সমীকরণ।
১৯৮৯ সালে সোভিয়েত সেনা আফগানিস্তান থেকে ফেরত যায়। দুই বছর পর সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হয়। আফগানিস্তানে ১৫ হাজার সোভিয়েত সেনা ও ১০ লাখ আফগানের মৃত্যু হয়েছিল। আফগানিস্তানে অবস্থানের জন্য বিশাল ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন ছিল সোভিয়েতে। কিন্তু কমিউনিস্ট পার্টির নিয়ম অনুযায়ী সে প্রশ্ন বাইরে যেত না। বরং তারা আফগানিস্তানে কী ভালো করছে তা প্রচার করত। শেষ মুহূর্তে আফগানিস্তানে সোভিয়েতের পার্টনার ছিলেন নজিবুল্লাহ। সোভিয়েতের বিদায়ে ১৯৯১ সালে এক ভয়াবহ অবস্থার মাঝে পড়ে নজিবুল্লাহ সরকার। সে সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে কোনো সহায়তা পাননি তিনি। বিদায় বেলা দুঃখ করে এডওয়ার্ড শেভার্দনাদজেকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সে চিঠিতে তিনি লিখেন, ‘আমি রাষ্ট্রপতি হতে চাইনি, আপনি আমার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন, জোর দিয়েছেন, সমর্থনের ওয়াদা করেছেন। এখন আপনি আমাকে পরিত্যাগ করে আফগানিস্তানের প্রজাতন্ত্রকে তার ভাগ্যের ওপর সঁপে দিচ্ছেন। ’ ১৯৯২ সালে রাশিয়া সরকার নজিবুল্লাহর প্রতি সব সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। মুজাহিদরা দখল করে নেয় সব শহর। পদত্যাগ করেন নজিবুল্লাহ। কাবুলের পতনের পর দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন, পারেননি। আশ্রয় নেন জাতিসংঘ দফতরে। একপর্যায়ে উত্থান ঘটে তালেবানের। তারা কাবুল দখল করে ১৯৯৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর নজিবুল্লাহকে প্রকাশ্য ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে। কী নিষ্ঠুর বীভৎস পরিণতি!
বাংলাদেশের জন্ম ৩০ লাখ শহীদের রক্তের স্রোতে। অসাম্প্রদায়িকতা মুক্তিযুদ্ধের অর্জন। এ অর্জনের সঙ্গে কোনো আপস হতে পারে না। আর আপস হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকে না। বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। এ এগিয়ে চলাকে বাধাগ্রস্ত করতে দেওয়া যায় না। প্রাচীন যুগে ফিরে যেতে পারে না এ দেশ। আবার অকারণে ধর্মকে আঘাত করাও সমর্থন করি না। দুনিয়ার সব সাম্প্রদায়িক বাড়াবাড়ির বিপক্ষে আমাদের অবস্থান। আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবা রাকতা ইয়া জাল-জালালি ওয়াল ইকরাম। অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি শান্তিময়, তোমার কাছ থেকেই শান্তি অবতীর্ণ হয়। তুমি বরকতময়, হে পরাক্রমশালী ও মর্যাদা প্রদানকারী!’ ইসলামে শান্তির কথা বলা আছে। রসুল (সা.) বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে পরিষ্কার বলেছেন, ‘সাবধান! তোমরা দীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি থেকে বিরত থাকবে। জেনে রেখ, তোমাদের পূর্ববর্তীরা এ বাড়াবাড়ির কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। ’ ধর্মের নামে কোনো বাড়াবাড়ি ইসলাম সমর্থন করে না। গানপাউডার দিয়ে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতিচিহ্ন শেষ করে দেওয়া হলো। প্রেস ক্লাবে হামলা হলো। পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকরা কাজ করতে গিয়ে নিস্তার পাননি। আমরা কোথায় যাচ্ছি? নিউজ টোয়েন্টিফোরের গাড়ির ওপর হামলা হয়। গাড়ির ভিতরে একজন নারী সাংবাদিক আর্তনাদ করছিলেন। রক্ষা করতে কেউ এগিয়ে আসেনি। ক্যামেরাম্যান ও গাড়ির চালক আহত হন। ১৮ সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। তাঁদের খোঁজ কেউ নেয়নি। মিডিয়ার অবস্থা এখন গরিবের সুন্দরী বউয়ের চেয়েও খারাপ। ঘরে হুমকি আর বাইরে হামলা, মিডিয়াকর্মীরা যাবেন কোথায়? না, এভাবে হয় না। অজ্ঞাত বাড়াবাড়ির শিকার হন সাংবাদিক কাজল। আবার রাস্তায় হেফাজতের নিষ্ঠুর হামলা। মাঝখানে যারা ক্ষমতায় আসতে পারে না তারাও নিজেদের ব্যর্থতার দোষারোপটা মিডিয়ার ওপরই দেয়। আরে ভাই, আপনি ব্যর্থ হলে মিডিয়া কী করবে? দেশে সুস্থধারা না থাকলে মিডিয়ার করার কী আছে?
দেখতে দেখতে বেলা বয়ে যায়। অনেক দেখেছি। জোর, প্রভাব, সারাক্ষণ হুমকি দিয়ে আর হামলা করে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। সাময়িক থামিয়ে দেওয়া যায়। শেষ পর্যন্ত এর পরিণাম ভালো হয় না কারও জন্য। আজ হোক, কাল হোক থলের বিড়াল বেরোবেই। থলের মাঝে বিড়াল নিয়ে রাস্তায় বসে থাকবেন, ভাববেন এ বিড়াল কেউ দেখবে না, কী করে হয়? বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো আপস হবে না। হতে পারে না। অসাম্প্রদায়িক আওয়ামী লীগের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। দুর্বল নেতৃত্বের কারণে সে অস্তিত্ব বিলীন হলে আর কিছুই থাকে না। বায়তুল মোকাররমে সরকারি দলের সহযোগী সংগঠনের শোডাউনের কোনো দরকার ছিল না। আইনের শাসন রক্ষার দায়িত্ব আইন প্রয়োগকারী সংস্থার। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। সে কাজে ব্যর্থদের দায়িত্বে থাকার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কাজ আলাদা। নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সারা দেশে আরও প্রতিবাদের দরকার ছিল, হয়নি। শক্ত মানুষকে দায়িত্ব দিতে হয়। লুতুপুতু নেতৃত্ব দিয়ে অনেক কিছু হয় না।
লেখক: সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।