ঢাকা: ডিজিটাল সচেতনতা অনলাইন এবং মোবাইল নির্ভর জীবন ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনলাইন বা মোবাইল নির্ভর আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থায় জীবন যেমন সহজ হয়েছে তেমনি এখানেও আছে কিছু ঝুঁকি।
রমজান ও ঈদ সামনে রেখে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এমন কি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও কিছু উপহার দেওয়ার মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারকরা নানা রকম ফাঁদ পাতছে। অনলাইনে এসব পোস্টের সঙ্গে থাকে নানা রকম লিংক, যেগুলো ক্লিক করে নিজের তথ্য শেয়ার করে ঝুঁকির মুখে পড়েন গ্রাহক।
লোভে পড়ে এই ধরনের উপহার সংক্রান্ত লিংক ক্লিক করা থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক গ্রাহকের জন্য জরুরি। তাছাড়া এই ধরনের তথ্য শেয়ার করা থেকেও বিরত থাকা প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের পক্ষ থেকে যখন কোনো সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উপকারভোগীর তালিকা তৈরি করে জানিয়ে দেওয়া হয়। ফলে অনলাইনে এই ধরনের ভুয়া উপহার সংক্রান্ত তথ্যে বিভ্রান্ত হয়ে নিজের গোপন তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে দরকার সচেতনতা।
এছাড়া, খুব সহজ পদ্ধতিতে আয়ের প্রলোভন দেখিয়েও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করে প্রতারক চক্র। এই ধরনের তথ্য বিশ্বাস করা উচিৎ নয় এবং পরিচিতজনদেরও সচেতন করা উচিৎ।
নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি উদ্যোগে চলছে অনলাইন কেনাকাটা। এই ধরনের কেনাকাটার পণ্যের দাম পরিশোধে মোবাইল আর্থিক সেবার বহুল ব্যবহার দেখা যায়। একবারে অপরিচিত বিক্রেতার কাছ থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে গ্রাহকের সচেতনতা জরুরি। যথাযথভাবে যাচাই না করে পণ্যের দাম পরিশোধ করা থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।
‘আপনার এমএফএস অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে/আপডেট করতে হবে/ বন্ধ হয়ে গেছে’-এমন ধরনের ফোন পেলে অবশ্যই কেটে দিতে হবে। এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে ফোন করে এভাবে তথ্য চাওয়া হয় না। এমএফএস অ্যাকাউন্ট থেকে গ্রাহকের অর্থ হারানোর ভয় নেই। ফলে এই ধরনের ফোন পেলে কোনো কিছু না ভেবেই কেটে দিন। অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে বা কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে ফোন করে বা ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে চ্যাট করে অথবা ইমেইলের মাধ্যমে নিজেই যোগযোগ করে জেনে নিতে পারেন গ্রাহক।
চাকরির প্রলোভন, লটারির প্রলোভন, বিদেশ যাত্রার প্রলোভন বা আরও নানা প্রলোভনে মানুষকে যুগে যুগে ঠকানোর চেষ্টা করে গুটিকয়েক প্রতারক। এখন মোবাইলের মাধ্যমে একই ধরনের প্রলোভনে অর্থ হাতিয়ে নিতে চেষ্টা করে প্রতারক। এসব ক্ষেত্রে কিছু অসচেতন গ্রাহক লোভে পড়ে নিজেই টাকা পাঠিয়ে প্রতারিত হন।
এই ধরনের প্রলোভনে পড়ে কাউকে টাকা পাঠানো উচিৎ নয়। এমন ফোন পেলে কেটে দিন। এই ধরনের ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলাও উচিৎ নয়।
আপনার অ্যাকাউন্টে ভুলে টাকা চলে গেছে এই ধরনের ফোন পেলেও নিজে যাচাই করুন।
মোট কথা অপরিচিত ফোন পেলেই সন্দেহ করুন এবং নিজে যাচাই করুন। মনে রাখতে হবে ডিজিটাল ওয়ালেট সুরক্ষিত রাখতে ডিজিটাল সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। তাই নিজে সচেতন হতে হবে, আশেপাশের সবাইকেও সচেতন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২১
এসই/এমআরএ