ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অন্যান্য দল

‘ঐক্যফ্রন্টের এমপিদের শপথ নেয়ার প্রশ্নই আসে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৯
‘ঐক্যফ্রন্টের এমপিদের শপথ নেয়ার প্রশ্নই আসে না’

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ী সাত সদস্য (এমপি) শপথ নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন জোটের নেতা ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু। ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামের দুই এমপির শপথ নেওয়ার ব্যাপারে দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেন ‘ইতিবাচক চিন্তা’র কথা বলার পর মন্টু এই কথা জানালেন।

গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গতকাল কিছু মিডিয়া (ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি) ড. কামাল হোসেনের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, ঐক্যফ্রন্টের কারও শপথ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

তাছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ইতোপূর্বে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে আমাদের এমপিরা কোনোভাবেই শপথ নেবেন না।  

রোববার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলের মেট্রোপলিটন চেম্বার ভবনে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন মন্টু।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর প্রমুখ।  

বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গতকাল বিভিন্ন অনলাইন নিউজপোর্টালে এবং আজ ছাপা পত্রিকায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। গতকাল (শনিবার, ৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় ড. কামাল হোসেনের একটি বক্তব্য নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির ভিত্তিতে এ ধরনের প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ড. কামাল হোসেন কোনোভাবেই বলেননি গণফোরাম থেকে নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন। আশা করি এই প্রশ্নে আর কোনো ভুল বোঝাবুঝি থাকবে না।

মন্টু বলেন, আমরা স্পষ্টভাবেই বলতে চাই, সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিতদের শপথগ্রহণ প্রশ্নে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনৈক্য নেই। বরং গত ৩০ ডিসেম্বর প্রহসনের পর জনগণের ভোটের অধিকার এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আগের চেয়ে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে। এখানে আমরা আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামের প্রহসনটি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সেদিনই প্রত্যাখ্যান করেছে। এই প্রহসনটি আবারও দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করেছে এই দেশে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তার কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে জোটগতভাবে অংশ নেয় বিএনপি-গণফোরাম-কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ-নাগরিক ঐক্যসহ কয়েকটি দল। এতে এমপি নির্বাচিত হন বিএনপির পাঁচজন ও গণফোরামের দুইজন।

নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি-জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ঐক্যফ্রন্ট। এ নিয়ে ৩ জানুয়ারি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেওয়া হয়, যেখানে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানায় তারা। সেদিন আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের নির্বাচিত এমপিরা শপথ নিলেও নেননি ঐক্যফ্রন্টের সাত এমপি।

ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত এমপিরা শপথ নেবেন কি-না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে সেদিনই জোটের মুখপাত্র ও নির্বাচিত এমপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা শপথ নিচ্ছি না। ’

কিন্তু গত শনিবার (৫ জানুয়ারি) গণফোরামের বর্ধিত সভার পর সংবাদ সম্মেলন করে ড. কামাল হোসেন জানান, তারা সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক চিন্তা করছেন। এ নিয়ে নানা গুঞ্জন ডালপালা মেলার প্রেক্ষিতে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকটি ডাকা হয়। আর বৈঠক শেষে মন্টু জানালেন জোটের অবস্থান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৯
টিএম/এইচএ/

** ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বৈঠকে ঐক্যফ্রন্ট

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য দল এর সর্বশেষ