ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অন্যান্য দল

পাটকলের শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
পাটকলের শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের .

ঢাকা: করোনাকালীন দুঃসময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধ, স্থায়ী ও অস্থায়ী ৫১ হাজার শ্রমিকের চাকরিচ্যুতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফন্টের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার (৩০জুন) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর পাঠানো এক বিবৃততিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রীয় খাতের সবগুলো পাটকল সরকার বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাটকলগুলোয় বর্তমানে স্থায়ী শ্রমিক আছেন ২৪ হাজার ৮৮৬ জন।

এছাড়া তালিকাভুক্ত বদলি ও দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। অর্থাৎ ৫১ হাজার কর্মীর পরিবারের অন্তত আড়াই লাখ মানুষের জীবনে এক চরম বিপর্যয় তৈরি করা হচ্ছে । এমন এক সময়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো, যখন করোনার ভয়ঙ্কর অভিঘাতের ফলে কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে । নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পদক্ষেপ নেয়া দূরে থাকুক, সরকার বর্তমানে কর্মে নিযুক্ত মানুষকেও কর্মচ্যুত করছে।

তারা বলেন, পাটকলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হিসেবে পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, গত ৪৮ বছরে সরকারকে এই পাট খাতে ১০ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা লোকসান দিতে হয়েছে। আমরা বলতে চাই, পাট খাতে যে লোকসান হয় সেটার জন্য শ্রমিকরা কোনোভাবেই দায়ী নয়। রাষ্ট্রায়ত্ত অন্য সব খাতের মতো প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি, অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারণেই এই শিল্পগুলোতে লোকসান হয়। সেই ব্যর্থতার মূল্য আজ দিতে হচ্ছে শ্রমিক ভাইদের।

এই চাকুরিচ্যুতির আগেও দফায় দফায় শ্রমিকদেরকে রাস্তায় নামতে হয়েছে জানিয়ে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলেন, তথাকথিত ‘উন্নয়নের রোল মডেল’রাষ্ট্রটি তার অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করা নাগরিকদের বেতন মাসের পর মাস বাকি রেখেছিল। যার জন্য তাদের বার বার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে হয়েছে। এখন সেই শ্রমিকদের ওপর নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পাটকলগুলো পরবর্তী সময়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় চলবে। সরকারের অতীত রেকর্ড থেকে এই আশঙ্কা করার খুবই যৌক্তিক কারণ আছে যে, শেষ পর্যন্ত এই পাটকল এবং এর সব সম্পত্তি সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যক্তির হাতে তুলে দেয়া হবে নামমাত্র মূল্যে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের পাটকল শিল্পকে ধ্বংস করে পশ্চিম বাংলার মৃতপ্রায় পাটকলগুলো চালু করার নীলনকশারও অংশবিশেষ বলে প্রতীয়মান হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি করছি। এই সিদ্ধান্ত রদ করার লক্ষ্যে পাটকলগুলোর শ্রমিক ভাইদের যেকোনো কর্মসূচির প্রতি আমরা সংহতি জানাই।

ঐক্যফ্রন্টের বিবৃতিদাতারা হলেন, ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ স ম আবদুর রব, ড. আবদুল মঈন খান, মাহমুদুর রহমান মান্না, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ড. রেজা কিবরিয়া ও অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
এমএইচ/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য দল এর সর্বশেষ