ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মানুষ বিএনপির গণসমাবেশ প্রত্যাখ্যান করেছে: লিটন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২২
মানুষ বিএনপির গণসমাবেশ প্রত্যাখ্যান করেছে: লিটন

রাজশাহী: রাজশাহীর সাধারণ মানুষ বিএনপির গণসমাবেশ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।  

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যাহত ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহলের এ নেতা বলেন, আজকে রাজশাহীতে যে সমাবেশ বা মহাসমাবেশ বিএনপি আহ্বান করেছিল। যার জন্য গত কয়েকদিন থেকে তাদের নানা রকম প্রচার-প্রচারণা ছিল, প্রচুর লোক হবে, কয়েক লাখ মানুষ ও নেতাকর্মী সমবেত করবে। এক্ষেত্রে বিএনপি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মাদ্রাসা মাঠটিতে খুব বেশি মানুষ লাগে না, সেখানে প্রায় ২৫ হাজারের মতো মানুষ হলে মাঠটি কানায় কানায় ভরে যায়, আশপাশের রাস্তা মিলে ৫০ হাজার মানুষ লাগে পূর্ণ হতে। আমরা ড্রোনে তোলা ছবিতে দেখেছি, বিএনপির সমাবেশের মাঠটি ফাঁকা। তাদের দলের নেতাকর্মী যারা বাইরে থেকে এসেছেন, তারা হয়তো ছিল। কিন্তু স্থানীয় নেতাকর্মীরা হয়তো সেভাবে অংশ নেননি। সাধারণ মানুষের যাওয়ার তো বাস্তবতা নেই, অংশ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এ ধরনের আন্দোলন, সরকার পতনের অগণতান্ত্রিক ঘোষণার সঙ্গে সাধারণ মানুষ থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। সেই কারণে আমি মনে করি এ সমাবেশ ‘ফ্লপ’ হয়েছে। বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষ সমাবেশ প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি রাজশাহীতে সেমিফাইনাল খেলার ঘোষণা দিয়ে এসেছিল। কেন তারা রাজশাহীতে সেমিফাইনাল খেলার জন্য পছন্দ করলো সেটি আমারও প্রশ্ন। তারা হয়তো মনে করছেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট ইত্যাদি তাদের সেই আগের ঘাঁটিটায় থেকে গেছে। যেখানে তাদের প্রার্থীরা দাঁড়ালে ধানের শীষে মানুষ ভোট দিয়ে জিতে দেয়। কিন্তু উনারা জানেন না, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার এ সময়কালে রাজশাহীর পাশ দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদী দিয়ে অনেক মিলিয়ন কিউসেক পানি প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে গেছে। ওই পানি যাওয়ার সময় বিএনপি-জাতীয়তাবাদী যারা ছিল, তাদের অনেককে টেনে নিয়ে চলে গেছে। এটি এখন আর বিএনপির ঘাঁটি নয়। যদি তাই হতো তাহলে আজকে সমাবেশের মাঠের এ করুন অবস্থা হতো না।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনেও অনেক চক্রান্ত হবে, আবারও কালো টাকা ছড়িয়ে দেওয়া হবে, প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হবে, মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হবে, নৌকা মার্কাকে ভোট না দেওয়ার জন্য নানা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করা হবে। কিন্তু ২০২৪ সালে নৌকায় জিতে যাবে ইনশাল্লাহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

শনিবার বিকেলে কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ। দুপুর আড়াইটায় শুরু হয়ে সমাবেশ চলে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আখতার জাহান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, সহ-সভাপতি নাইমুল হুদা রানা, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আহসানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, প্রচার সম্পাদক দীলিপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফ ম আ জাহিদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ প্রমুখ।

এছাড়া রাজশাহী মহানগর, থানা, ওয়ার্ড আওয়ামী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২২
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।