ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আপনারাই ইস্যু তৈরি করে দিয়েছেন: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
আপনারাই ইস্যু তৈরি করে দিয়েছেন: ফখরুল

ঢাকা: মূল্যবোধ বিরোধী কার্যক্রম পাঠ্যপুস্তকে মেনে নিতে পারি না মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন—আপনারা কেউ ইস্যু তৈরি করবেন না, আমরা সংশোধনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তকের অসংযুক্তিগুলো বাতিল করতে হবে।

ইস্যু তো আমরা তৈরি করছি না, বরং আপনারা (শিক্ষামন্ত্রী) ইস্যু তৈরি করে দিয়েছেন।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলতে বলতে অজ্ঞান হয়ে যায়। অথচ তাদের ৭২-৭৫ সালে গণতন্ত্র হরণ করে কেন বাকশাল করতে হয়েছে? এটা জিজ্ঞাসা করলেই তাদের গায়ে আগুন লেগে যায়। আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে চাই, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই, ভোটাধিকার চাই, গণতন্ত্র ফিরে পেতে চাই।

তিনি বলেন, এই সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন কেউ ভোট দিতে যেতে চায় না। যে সংসদ আছে সেটা হলো একদলীয় ক্লাব অব আওয়ামী লীগ। তাই আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমাদের গণতন্ত্র ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য রাজপথে রক্ত দিতে হচ্ছে, প্রাণ দিতে হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা একটি অসম সংগ্রাম করছি। যেখানে আমাদের প্রতিপক্ষ অত্যন্ত প্রভাবশালী। যাদের হাতে রয়েছে রাষ্ট্রশক্তিসহ বন্দুক পিস্তল গ্রেনেড, যা তারা ছুড়ে মারে। আর আমাদের নামে মামলা দেয়।

জনগণের উত্তাল তরঙ্গের ঢেউয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ভেসে যাবে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে চলছে এক ব্যক্তির শাসন, কীসের ভোট; তোমাদের ভোটও আমরা দেব। কথায় কথায় বলে গণতন্ত্র হবে আমাদের মতো করে। অথচ তাদের গণতন্ত্র তো বহুদলীয় গণতন্ত্র থেকে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা। স্পষ্ট কথা, বাংলাদেশের মানুষ না খেয়েও হাসে। তারা গণতান্ত্রিক দেশে কথা বলতে চায়। সেই লক্ষ্যে বিএনপির ঘোষিত ১০ দফার প্রথম দাবি হচ্ছে এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে তাদের অধীনে নির্বাচন হবে। জনগণের মধ্যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে আমরা সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করব।

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম, সাংবাদিক নেতা কামাল উদ্দিন সবুজ, শহীদুল ইসলাম, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, প্রফেসর সহিদুল হাসান, ড. বোরহান উদ্দিন, প্রফেসর কামরুজ্জামান, কৃষিবিদ গোলাম হাফিজ কেনেডি, ফখরুল ইসলাম, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।