ঢাকা: আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের ‘ট্রু ফর্ম’ অনুসরণ করে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা গণতন্ত্রের ট্রু ফর্ম অনুসরণ করি। নির্বাচনে বিরোধীদল আসেনি, কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমরা বলছি না আমাদের গণতন্ত্র শতভাগ পারফেক্ট। গণতন্ত্রের সবক দেয় যে পশ্চিমাবিশ্ব, তারাও পারফেক্ট নয়।
বিএনপি নির্বাচনে না এসে যে ভুল করেছে তার খেসারত অনেকদিন দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আগামীকাল শনিবার আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের দলের সুদৃঢ় ঐক্যের দরকার। গত নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কৌশলগত কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন করেছে। যে নির্বাচনে ৬২ জন নির্বাচিত হয়েছেন। তারাও কিন্তু আওয়ামী লীগের। অনেকে আওয়ামী লীগের পদধারীও আছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে নিজেদের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি, মতবিরোধ, দ্বন্দ্ব, সংঘাতের মতো দুঃখজনক ঘটনাও ঘটেছে। এসব হানাহানি দলের অভ্যন্তরে অন্তর্দ্বন্দ্ব, কলহ এসব বিষয়ের অবসান ঘটিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে দলে সুদৃঢ় ঐক্য দরকার।
তিনি বলেন, সবকিছু ভুলে গিয়ে এখন লক্ষ্য উপজেলা নির্বাচন, মেয়র নির্বাচন পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে যেন মনোমালিন্য কোনো সংঘাত সৃষ্টি না সেজন্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবার মধ্যে ঐক্যবদ্ধ আবহ তৈরির জন্য এই বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন।
রাজনীতির মাঠে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, যতটুকু জানি তার অনেকগুলো মামলায় জামিন হয়েছে। একটি মামলা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় তার ক্ষেত্রে একটু অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হয়ত একটা সময় জামিন হয়ে যাবে। একজন বিনা বিচারে আটকে থাকবে এটা সরকারও চায় না। জামিন হয়নি, ভবিষ্যতে হবে না এটা ঠিক নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। একেক জন একেক কথা বলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির মুখপাত্র। তিনি বললে সেটা দলের বক্তব্য।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশের চিকিৎসা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী বলেন, পারিবারিকভাবে আবেদনটা করুক। স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় কীভাবে সুপারিশ করে তারপর বলা যাবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৪
এমইউএম/এসএএইচ