ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খুলনায় ছাত্রদলের কমিটি শিগগিরই, পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ

মাহবুবুর রহমান মুন্না, ব্যুরো এডিটর  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
খুলনায় ছাত্রদলের কমিটি শিগগিরই, পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ

খুলনা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটি খুব শিগগিরই গঠন করা হবে। এমন খবরে এরইমধ্যে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ চলছে।

সভাপতি-সম্পাদক পদে আসতে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন তারা।

কমিটি গঠনকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। ছাত্রদলের জেলা ও মহানগর কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বে কে আসবে, এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা।

খুলনা জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম জোরেসোরে শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী শহিদুল ইসলাম, খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মশিউর রহমান শফিক, খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম, ডুমুরিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক এম.ডি জাফর হাসান, খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাছুম বিল্লাহ, উত্তর রূপসা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক এসএম বোরহান উদ্দিন, খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক হেলাল আহমেদ, খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আবু জাফর, বটিয়াঘাটা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক ১ম যুগ্ম-আহ্বায়ক খাঁন ইসমাইল হোসেন।

অনুরূপভাবে খুলনা মহানগর ছাত্রদলের নতুন কমিটির সভাপতি পদে যাদের নাম জোরেসোরে শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মো. তাজিম বিশ্বাস, সাবেক আহ্বায়ক ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তিক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন জিতু, আসাদুজ্জামান আসাদ ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রশিউর রহমান রুবেল।

খুলনা মহানগর ছাত্রদলের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে- খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান আরিফ, সদর থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, বিএল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক নেতা মাজারুল ইসলাম রানা, সিটি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাজু আহমেদ, খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির মাজারুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেদায়েত উল্লাহ দিপু, সদর থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ, সোনাডাঙ্গা থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নাম্মিন হোসেন মারজান, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য এস এম ইউসুফ এবং আব্দুল আহাদ শাহীন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর আব্দুল মান্নান মিস্ত্রিকে সভাপতি ও গোলাম মোস্তফা তুহিনকে সাধারণ সম্পাদক করে খুলনা জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর ঘোষিত ৩১ সদস্যবিশিষ্ট খুলনা জেলা ছাত্রদল কমিটি ২০১৮ সালের ১০ জুন ২৫১ সদস্যের কমিটিতে বর্ধিত করা হয়।

অপরদিকে, ২০২১ সালের ২৪ মার্চ ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তিকের আহ্বায়ক এবং মো. তাজিম বিশ্বাসকে সদস্য সচিব করে খুলনা মহানগর ছাত্রদলের ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। খুলনা মহানগর ও জেলা ছাত্রদলের এ দুইটি কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ১৭ আগস্ট (শনিবার) বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমের পাঠানো এত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রায় ২ মাস ধরে অভিভাবকহীন খুলনা জেলা ও মহানগর ছাত্রদল।

জানা যায়, বিএনপির ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত ছাত্রদল। এজন্য মাঠে নেমেছে সংগঠনটির নেতারা। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে হামলা-মামলা-নির্যাতনের শিকার ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নতুন কমিটিতে প্রাধান্য দেওয়া হবে। ছাত্রদল ঢেলে সাজাতে প্রত্যক্ষভাবে তদারকি করছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সারাদেশে কাজ করছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।

সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বলছেন, যারা জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছে, বিপদের সময় দলকে ছেড়ে যায়নি, ইতিবাচক ভাবমূর্তির অধিকারী এবং শিক্ষাগতসহ সব দিক থেকেই যোগ্য, এমন কর্মীদেরকেই গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব প্রদান করা হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা রাজপথে ভূমিকা রেখেছে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

এদিকে নতুন করে শিক্ষার্থীদের সংগঠনে ভিড়াতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এতে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

খুলনায় সাংগঠনিক সফরে আসা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বাংলানিউজের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অচিরেই খুলনা জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হবে।

এক্ষেত্রে কমিটিতে কাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাদের যে কমিটিগুলো দেওয়া হবে সেখানে রেগুলার স্টুডেন্টদেরই দেওয়া হবে। বিশ তারিখের পর থেকে কার্যক্রম শুরু হবে। তবে জেলা ও মহানগরে সামান্য একটু সিনিয়র হতে পারে। কিন্তু শিক্ষার্থীর বাইরে কেউ কমিটিতে জায়গা পাবে না। আগের সেই নেতিবাচক রাজনীতির প্রবণতা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাচ্ছি। গতানুগতিক রাজনীতি থেকে আমরা বের হয়ে একটি স্বচ্ছ কমিটি দিতে চাই। যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের মতামত প্রাধান্য পাবে।

 বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬,  ২০২৪
এমআরএম/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।