ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করলে কাউকে ছাড়া হবে না: নুর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৪
শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করলে কাউকে ছাড়া হবে না: নুর বক্তব্য রাখছেন নুরুল হক নুর

ঝিনাইদহ: প্রশাসনে এখনো ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে মন্তব্য করে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করলে কাউকে ছাড়া হবে না।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাতে ঝিনাইদহ গণ অধিকার পরিষদ এই গণসমাবেশের আয়োজন করে।  

নুরুল হক নুর অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের তাড়া নেই। সরকারকে জনগণের পালস বুঝতে হবে। প্রশাসনে এখনো আওয়ামী প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে। দেশের জনগণ আস্থা-বিশ্বাস নিয়ে আপনাদের চেয়ারে বসিয়েছে। যদি চালাতে না পারেন, দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে না পারলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিন। দেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান আমরা দেখতে চাই না।  

গত আড়াই মাসে অর্ন্তবর্তী সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেন নুর। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করলে কাউকে ছাড়া হবে না।  

পতিত স্বৈরাচারের সমালোচনা করে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, শেষ সময়ে এসে ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনা মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। সে কারণেই তিনি বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জেলে পাঠাতে চেয়েছিলেন। ক্ষমতায় থাকতে খুনি শেখ হাসিনা বলেতেন, তিনি নাকি দেশের মানুষকে খাবার দিতেন, ঘরে ঘরে টেলিভিশন দিয়েছেন, হাতে হাতে মোবাইল ফোন দিয়েছেন। এসব কথা বলে তিনি মানসিক রোগীর মত কর্মকাণ্ড করেছেন। অথচ পালানোর সময় জুতা পর্যন্ত পায়ে দিতে পারেননি। ক্ষমতার লোভে তিনি মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, মানুষের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে আমরা বারবার হামলার শিকার হয়েছি। এখন মানুষ মুক্ত ও স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে। এই পরিবর্তন ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। আগে আমাদের নিজেদের পরিবর্তন হতে হবে, তারপর দেশের পরিবর্তন ঘটবে। আগস্ট বিপ্লবের এই নতুন স্বাধীনতা আমাদের নতুন স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে। আমরা আর কোনো দেশের দাসত্ব করতে চাই না। বাংলাদেশ সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

সমাবেশের প্রধান বক্তা গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা ক্ষমতায় গেলে জেলার চিকিৎসা খাতে উন্নয়ন এবং বেকার শিক্ষিত যুবকদের চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করবো। প্রতিটি বাড়ি থেকে একজন করে চাকরি পাবেন। দেশে কেউ বেকার থাকবে না।  

ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনকে ভোট দেওয়ার জানানো হয় সমাবেশে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও পরিষদের জেলা সভাপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন। পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, শাকিলউজ্জামান, নূরে এরশাদ সিদ্দিকী, মাজেদুল হক, গোলাম সরোয়ার, জাহিদুর রহমান, তৌফিক শাহরিয়ার খান, রবিউল ইসলাম, খুলনার সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক ইকবাল, রাজশাহীর সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন কবির, তোফাজ্জেল হোসেন, বরিশালের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক খালিদ হাসান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঝিনাইদহ জেলা গণ অধিকার পরিষদের সাধরণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।