ঢাকা: বাংলাদেশের ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের মধ্য দিয়ে ভারত চিরাচরিত অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে বলে উল্লেখ করেছে খেলাফত মজলিস।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক থেকে বক্তারা এ কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের মধ্য দিয়ে ভারত চিরাচরিত অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে। ভারতকে মনে রাখতে হবে তার উত্তর পূর্বঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশের ট্রানজিট সুবিধা প্রয়োজন। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, অবিলম্বে ভারত যদি ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা পুনর্বহাল না করে, তাহলে বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিয়ে তার সকল ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করতে হবে।
বৈঠকে থেকে বলা হয়, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে হিন্দু শাস্ত্রে বর্ণিত উৎসব ‘চৈত্র সংক্রান্তি’ পালনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি/আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করার অধিকার সরকারের নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হবে চিরায়ত মুসলিম বাংলার ঐতিহ্যের আলোকে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের নিজস্ব পরিমণ্ডলে ধর্মীয় আচার উদযাপন করতে পারে।
বক্তারা বলেন, সর্বজনীনতার নাম দিয়ে পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন অপসংস্কৃতি মুসলমানদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। আরবের হিজরি সনকে অনুকরণ করে ভারতের মুসলিম সম্রাট ও জ্যোতির্বিদের উদ্ভাবিত বাংলা সন উদযাপনে কোনো প্রকার অনৈসলামিক কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। সরকারকে অবিলম্বে চৈত্র সংক্রান্তি বাধ্যতামূলক পালনের নির্দেশনা প্রত্যাহার করতে হবে।
বৈঠকে ১২ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ সফলের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, গাজায় গণহত্যা বন্ধ ও ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বকে তাদের নৈতিক দায়িত্বপালন করতে হবে। বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করা এবং মদদদাতা রাষ্ট্রসমূহের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন অবিলম্বে শুরু করতে অন্তবর্তী সরকারের জোর তৎপরতা দাবি করছি।
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আমিরে মজলিস মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, মাওলানা সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৫
আরকেআর/এমজেএফ