ঢাকা, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

ধর্ম যার যার বাংলাদেশ সবার: জামায়াতের আমির

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:৫৩, এপ্রিল ৩০, ২০২৫
ধর্ম যার যার বাংলাদেশ সবার: জামায়াতের আমির জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান

ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘এই দেশ সবার, এখানে সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। ’ 

গতকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভায় তিনি ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে ন্যায়ের সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক সহিংসতা, প্রতিহিংসার রাজনীতি বর্জনের আহ্বান জানান জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা।

ধর্ম যার যার, বাংলাদেশটা হোক সবার—এই মর্মবাণী সামনে রেখে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই, যেখানে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—সব ধর্মের মানুষ মর্যাদা নিয়ে বসবাস করতে পারবে। ’ 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ডিসেম্বর কিংবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমরা দেখতে চাই, তিনি তার কথায় ঠিক থাকবেন। ’

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল মুন্তাজিম, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ চৌধুরী। বক্তব্য দেন কুলাউড়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্টাচার্য্য সজল, উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি ডা. অরুণাভ দে, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ড. রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।

এর আগে সকাল ১০টায় ভুকশিমইল ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ বাজারে দাওয়াতি সভা, দুপুর দেড়টায় জুড়ি নাইট চৌমুহনীতে সভা, বিকেলে জেলা ছাত্রশিবিরের সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষা বৈঠক, আসরের নামাজ শেষে রবিরবাজার মসজিদে বক্তব্য এবং সন্ধ্যার পর পৃথিমপাশা, ব্রাহ্মণবাজার ও ভাটেরা ইউনিয়নে জনসংযোগে অংশ নেন জামায়াতের আমির।

ইসলামী শ্রমনীতিতেই শ্রমিকের মুক্তি ও মালিকের স্বার্থ : আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই শ্রমিকদের প্রকৃত মুক্তি এবং মালিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ সম্ভব।

গতকাল দেওয়া ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৮৮৬ সালের ১ মে শিকাগোর শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যে আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, তা এখনো শ্রমিকদের প্রেরণা জোগায়। কিন্তু আজও শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি ও সুযোগ-সুবিধার দাবিতে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন এবং কখনো কখনো প্রাণও হারান।

এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।