ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

ডেঙ্গুর সময় ছুটি নিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন তাপস: রফিকুল ইসলাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:০২, জুলাই ৭, ২০২৫
ডেঙ্গুর সময় ছুটি নিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন তাপস: রফিকুল ইসলাম কথা বলছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম

নারায়ণগঞ্জ: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ২০২৩ সালে করোনার দুর্যোগের সময় তৎকালীন মেয়র তাপস ১৭ দিনের ছুটি নিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। যে দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ছিল, সেটি আর হয়নি।

ডেঙ্গুর সময় আমাদের হাসপাতালগুলোতেও সংকট ছিল।

সোমবার (৭ জুলাই) নারায়ণগঞ্জে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) আয়োজনে ডেঙ্গু সচেতনতামূলক সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রায় ৪৫ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি করোনায়ও অনেক রোগী আক্রান্ত হচ্ছেন। দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরা ব্যস্ততার জন্য এটি নিয়ে আলোচনা করতে পারিনি।

এই নেতা আরও বলেন, বিএনপি সবসময় জনগণের পাশে থাকে। তারা জনগণকে নিয়েই কাজ করে। করোনার সময় যখন মানুষ মানুষের খোঁজ নিতে ভয় পেত, সেসময়ও ড্যাব, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও বিএনপি নেতাকর্মীরা সারা দেশে চিকিৎসায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে চিকিৎসার পাশাপাশি সচেতনতার প্রয়োজন। গত বছর আমরা পুরো ঢাকা শহরে লিফলেট বিতরণ করেছি। এরপর ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে গিয়েছিল। ২০২৪ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কমে এসেছিল মানুষের সচেতনতার কারণে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। ফ্যাসিস্টদের প্রেতাত্মারা এখনও সব জায়গায় আছে। তারা সবসময় চক্রান্ত করতে চায়। আমি সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি-আপনারা দয়া করে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করুন। না হলে মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়ে যাবে।

তিনি বলেন, এ দেশের মানুষের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণের দায়িত্ব আপনাদেরই। হাসপাতালগুলোতে মেডিসিন ও রেশন আছে কিনা, তা লক্ষ্য রাখবেন। স্বাস্থ্য সেক্টরের দুর্নীতি প্রতিরোধ করার সময় এখনই। এ ব্যাপারে আমাদের সবার সজাগ দৃষ্টি ও সচেতনতা দরকার।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবুল বাসার এবং জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মুশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এমআরপি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।