ঢাকা, রবিবার, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৭ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

‘সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের কাছে দেশ ছেড়ে দেবে না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৩৫, জুলাই ১২, ২০২৫
‘সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের কাছে দেশ ছেড়ে দেবে না’

ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের কাছে জামায়াতে ইসলামী দেশ ছেড়ে দেবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, খুনি, ধর্ষক, লুটেরা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর মানুষ নিশ্চিত হয়েছে, সন্ত্রাসীদের হাতে আর কাউকে জীবন দিতে হবে না, কাউকে চাঁদা দিতে হবে না। কিন্তু দেখা গেছে আওয়ামী লীগের মতোই আরেকদল সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি শুরু করেছে। নিজেরাই নিজেদের দলীয় নেতাকর্মীদের নৃশংসভাবে খুন করছে। তারা প্রতিদিন নির্বাচন চাইলেও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে কথা বলছেন না। কারণ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ধর্ষক, খুনি তাদেরই পালিত।

মিটফোর্ডে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডসহ সারাদেশে খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবিতে শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিক্ষোভ মিছিল পূর্বক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জাতির সঙ্গে তামাশা করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়নি। সরকারকে মনে রাখতে হবে তারা ক্ষমতায় বসেনি, তাদেরকে জনগণ ক্ষমতায় বসিয়েছে।  

জনগণের জানমাল, ইজ্জত রক্ষা করতে না পারলে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নৈতিক দায়িত্ব ছিল পদত্যাগ করা। কিন্তু তিনি সেটি করেননি এমনকি আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি উন্নতিও করতে পারেননি।  

সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ কোনো দলের হতে পারে না মন্তব্য করে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, সন্ত্রাসী কত বড় নেতা, চাঁদাবাজ কত বড় নেতা, কোন দলের নেতা তা না দেখে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ধর্ষক, খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, নতুন বাংলাদেশে একটি দল নির্বাচন নির্বাচন তসবিহ পাঠ করে-করে সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। ৯ তারিখে তাদের দলের নেতা হত্যার শিকার হলেও ৪দিন পরে কেন তারা সংবাদ সম্মেলন করে হত্যার বিচার দাবি করে! পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা যেখানে সারা বিশ্বে মানুষ সরকারের পতন চায়, সেখানে বাংলাদেশে মানুষ একটা দল ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই তাদের পতন চায়। তাদের হাত থেকে মুক্তি চায়! একটি রাজনৈতিক দলের জন্য এটি কতটা নিলজ্জতা সেটি বলে শেষ করা যায় না।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন এবং মোহাম্মদ কামাল হোসেন।  

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান ও শামছুর রহমান। এছাড়াও মহানগরীর কর্মপরিষদ ও শূরা সদস্যরাসহ বিভিন্ন থানা আমির -সেক্রেটারি ও দায়িত্বশীল নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশ শেষে, মিটফোর্ডে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডসহ সারাদেশে খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইট থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে শাহবাগ গিয়ে শেষ হয়।  

টিএস/জেএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।