জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ওপর গোপালগঞ্জে হামলার পর দেশব্যাপী ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জাতীয় যুবশক্তি, একই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও। এনসিপির নেতাকর্মীরা রাজধানীর শাহবাগ মোড়ও অবরোধ করেছেন।
কিন্তু জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে ব্লকেড কর্মসূচি থেকে সরে আসতে বলেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বিক্ষোভকারীদের রাস্তার একপাশে অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘সারা দেশে রাজপথের ব্লকেড সরিয়ে নিন। রাস্তার একপাশে অবস্থান করুন। লড়াই চলবে। ’.
দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জ জেলায় প্রবেশ করেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। সমাবেশ শেষ করে ফেরার পথে কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে হামলা চালায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে শহরের পৌর পার্কে সমাবেশ মঞ্চে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেখানে চেয়ার ভাঙচুর করে।
তারও আগে সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কংশুর এলাকায় (ইউএনও) গাড়ি বহরে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটান ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া সদর উপজেলার উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে টহলরত পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
এত হামলা সত্ত্বেও পৌর পার্কে সমাবেশ করে এনসিপি। এরপর তারা বেরিয়ে যাওয়ার পথে গাড়িবহরে হামলা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ।
এফএইচ/এমজে