বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব ভাগাভাগি করার কিছু নেই।
রোববার (৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ যেভাবে জনযুদ্ধ ছিল, সেটার কোনো মা-বাপ ছিল না। যে কারণে আমরা কাউকে জাতির পিতা হিসেবে মানি নাই। জুলাই আগস্ট এটা ছিল গণ-অভ্যুত্থান, গণমানুষের অভ্যুত্থান। এখানে কৃতিত্ব ভাগাভাগি করার কিছু নেই।
তিনি বলেন, বিবেক থেকে, বিবেকের উৎসারিত তাগিদ থেকে যে যতটুকু পেরেছেন, সে ততটুকু কাজ করেছেন। সুতরাং, এটা হচ্ছে আমাদের সামগ্রিক কৃতিত্ব, গোটা বাংলাদেশের কৃতিত্ব।
১৯৭২ সালের সংবিধানের সমালোচনা করে যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ১৯৭২-এর যে সংবিধান, সেই সংবিধানের মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র কে ঢুকিয়েছে? কোনো মুক্তিযোদ্ধা কি বলেছে, ‘ধর্মনিরপেক্ষতার যুদ্ধে গেলাম?’ কোনো মুক্তিযোদ্ধা কবে বলেছে যে ‘আমি এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি সমাজতন্ত্র আদায়ের জন্য?’ কেউ বলেনি। তারপর একতরফা সেটা হয়ে গিয়েছে, করে দিয়েছে।
আলাল বলেন, এ রকম একতরফা যাতে না হয়, সেজন্য বিএনপি তো সবার আগে পদক্ষেপ নিয়ে বসে আছে। আমরা আমাদের ৩১ দফা যে সংস্কার প্রস্তাব, সেখানেও আমরা সব শেষ যে বাক্যটি লিখেছি, যারা আপনারা পড়েছেন বা জেনেছেন, দেখবেন যে এর চেয়েও উত্তম যদি কোনো প্রস্তাবনা জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আসে, আমরা সেটাকে সাদরে গ্রহণ করব। এর চেয়ে বড় উদারতা দেখানোর আমাদের আর কি আছে? যদি আপনারা পরামর্শ দেন, আমরা বিএনপি সেটা অনুসরণ করব।
সচিবালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, সচিবালয়টা কিন্তু মূলত সচিবালয় না। এটা কিন্তু মন্ত্রণালয়। আপনারা যদি সচিবালয় নামটা পরিবর্তন করতে পারেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত খুশি হব। কারণ, ওয়ারেন্ট অফ প্রেসিডেন্টস অনুযায়ী, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, মন্ত্রণালয়ের যিনি, তিনি হচ্ছেন মন্ত্রী, সচিব না। তা চিফ অ্যাকাউন্টেবল অফিসার যদি মন্ত্রী থাকেন, তা সচিবালয় নাম হবে কেন ওটার? ওটার নাম হবে মন্ত্রণালয়। একটা আমাদের প্রতিবেশী দেশের একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি পরিবর্তন করে দিতে পারেন, পশ্চিমবঙ্গের ওইটার নাম নবান্ন করে নিতে পারেন, আমরা এখনো কেন সচিবালয় বলব?
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিজামুদ্দিন দরবেশ এর সঞ্চালনায় বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী শপু,আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক স্টাফিল হোসেন আকন্দ সহ প্রমুখ।
ডিএইচবি/এমইউএম