জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মতো দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এই মতপার্থক্য নিয়ে গণভোটে গেলে দলগুলোর মধ্যে ‘কামড়াকামড়ি’ হবে এবং এর ফলে তারা নিজেরাই ধ্বংস হয়ে যাবে—যা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইকে দুর্বল করে দেবে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেন রাশেদ খান।
তিনি বলেন, যদি বিএনপি ও জামায়াত ভিন্নমতের ভিত্তিতে প্রচার চালায়, তবে এটি আওয়ামী লীগের প্রয়োজন ছাড়াই অভ্যন্তরীণ সংঘাত তৈরি করবে।
রাশেদ খান আরও জানান, তারা কমিশনের কাছে নোট অব ডিসেন্ট কমানোর জন্য আলোচনা চালিয়েছেন, কিন্তু কোনো সমাধান আসেনি। গণঅধিকার পরিষদ মনে করে, জনগণ প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন কমিশনকে ম্যান্ডেট দিয়েছে সংস্কার, বিচার এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য। তাই কমিশনের উচিত, কোন কোন বিষয়ে ভিন্নমত রাখা যাবে আর কোনগুলোতে নয়, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করে রাশেদ খান বলেন, যে কমিশনের প্রধান স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা, সেই কমিশন শুধু সুপারিশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে এবং সেই সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে।
রাশেদ খান বলেন, এভাবে তারা আমাদের ভেতরে মতপার্থক্য সৃষ্টি করবে। তারা বসে বসে খেলা দেখবে, সেইটা আমরা মানতে রাজি নয়।
তিনি বলেন, ঐকমত্যের জন্য যদি ভিন্নমত দূর করার প্রয়োজন হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ পাঁচ মাস আলোচনা হলেও দলগুলো কখনোই ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে না।
ইএসএস/এমজেএফ