ঢাকা: বিএনপিতে এখনো শান্তি ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নেতা রয়েছেন মন্তব্য করে বিএনপি নেতাদের খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে পরিত্যাগ করার আহবান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি।
তিনি বলেছেন, বিএনপিতে এখনো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও শান্তির পক্ষের নেতৃত্ব রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি চলচ্চিত্রকার আলমগীর কুমকুমের ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বিএনপিকে আইএসআই’র ভাবশিষ্য ও জঙ্গি ভাবধারায় পরিণত করেছেন মন্তব্য করে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে কামরুল ইসলাম বলেন, আপনাদের দলকে রক্ষা করার দায়িত্ব আছে। দয়া করে আপনারা সেই দায়িত্বটুকু পালন করুন।
‘সন্ত্রাসীরা কোনো দলের না’-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমানের এমন বক্তব্যের বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপি এ নেতার উদ্দেশে তিনি বলেন, এটি যদি আপনাদের মনের কথা হয়, তাহলে সেই অরাজকতা থেকে বের হয়ে আসুন।
সরকার সন্ত্রাস নির্মূলের অভিযান অব্যহত রাখবে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের জান-মাল রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এজন্য যা যা করার দরকার সরকার তাই করবে।
খুব দ্রুত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিএনপির অবরোধকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জনসাধারনের প্রতি আহবান জানিয়ে কামরুল বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। জড়িতদের পুলিশের হাতে তুলে দেবেন।
বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এখন মাঝপথে থাকার সময় নয়। আপনারা সত্যকে সত্য বলুন। খালেদা জিয়াকে আগুন নেভাতে বলুন। দয়া করে তাকে নিবৃত করুন।
যারা সংলাপ বা আলোচনার কথা বলছেন, তারা জ্ঞানপাপীদের মতো বাস্তবতা উপলব্ধি করতে চেষ্টা করছেন না মন্তব্য করে কামরুল বলেন, আজকে মূল ইস্যু নির্বাচন কিংবা তত্ত্বাবয়ধায়ক সরকার নয়। মূল ইস্যু একাত্তরের ঘাতকদের রক্ষা করা, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে দুর্নীতির মামলা থেকে রক্ষা করা।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বিএনপিকে আইএস’র ভাবশিষ্য বানিয়ে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করে কামরুল বলেন, ২০০১ সালের বিএনপি আমলের চেয়ে তারেকের জঙ্গি কানেকশন এখন আরো দৃঢ় হয়েছে। তার সঙ্গে এখন আইএস’র কানেকশন হয়েছে। বাংলাদেশের আইএস জঙ্গি নেতৃত্বের সঙ্গে কোনো আলোচনা হতে পারে না।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৫