ঢাকা: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলাকলে রাজধানীর কমলাপুরের মানিকনগর ও রামপুরা কাঁচাবাজার ও আবুল হোটেলের কাছে, গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় আগুন এবং মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে একটি হিউম্যানহলার ভাঙচুর করেন অবরোধ সমর্থকরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কমলাপুরের মানিকনগর ও এর কিছু পরে রামপুরা কাঁচাবাজার এলাকায় দুটি বাসে, রাত পৌনে নয়টার দিকে রামপুরার আবুল হোটেলের কাছে একটি বাসে, একই সময়ে গাবতলী বাসটার্মিনালের হানিফ কাউন্টারের কাছে রূপকথা পরিবহনে আগুন দেওয়া হয়।
এর মধ্যে কমলাপুরের মানিকনগর ডিপোতে রাখা একুশে পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো- ব ১৪-৫৬৬৪) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আগুন দেওয়া হয়। এতে করে বাসটি একবারেই পুড়ে যায়।
অপরদিকে, রামপুরার কাঁচাবাজার এলাকায় সাতটা ৪০ মিনিটের দিকে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের (ঢাকা মেট্রো জ ১১-৩০০০) পেছনের সিটে আগুন দেওয়া হয়। এতে করে বাসটির পেছনের সিটসহ বেশকিছু অংশ পুড়ে যায়।
এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উভয় বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের মো. আলী বাস বাসে আগুন ও হিউম্যানহলার ভাঙচুরের খবর বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো জানান, সাতটা ৪০ মিনিটের দিকে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসে যাত্রীবেশে উঠে রামপুরা কাঁচাবাজারের কাছে পৌঁছালে বাসের পেছনের সিটি আগুন দিয়ে অবরোধকারীরা নেমে যান। পরে অন্যান্য যাত্রীরা দেখতে পেয়ে দ্রুত নেমে পড়েন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা তা নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রাত পৌনে নয়টার দিকে রামপুরা আবুল হোটেলের কাছে গ্রামীণের বন্ধু পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছেন অবরোধকারীরা। বাসটি গুলিস্তানের দিকে যাওয়ার সময় আবুল হোটেলের সামনে পৌঁছালে যাত্রীবেশে অবরোধকারীরা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন।
পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপরদিকে, গাবতলী বাস টার্মিনালের হানিফ কাউন্টারের সামনে রাত পৌনে নয়টায় অবরোধের সমর্থনে রূপকথা পরিবহনে আগুন দেওয়া হয়। তবে স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
একই সময়ে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধে অবরোধের সমর্থনে ২০/২৫ যুবক ঝটিকা মিছিল বের করে একটি হিউম্যান হলার (লেগুনা) ভাঙচুর করেন। ঘটনার সময় তারা পর পর তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৫/আপডেটেড: ২১২৬ ঘণ্টা