গুলশান কার্যালয় থেকে: নিজের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ভেঙে রাস্তায় বের হতে চান না বলেই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখনো গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন তার উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে গুলশান কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
শওকত মাহমুদ বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয়েছে নিজের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ভেঙে তিনি বের হতে চান না।
অবরোধ কতদিন চলবে এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হবে ততোদিন পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে আছেন খালেদা জিয়া।
ঢাকা ও খুলনা বিভাগের জেলা ও মহানগরে টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতাল পালন করায় দেশবাসী ও ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি (খালেদা)- জানান শওকত মাহমুদ।
মিডিয়া মালিকদের সঙ্গে সরকারের সাত মন্ত্রীর বৈঠকের ব্যাপারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর আগে মিডিয়া মালিকদের সঙ্গে এভাবে সাত জন মন্ত্রীর বৈঠক কখনো হয়নি। বিষয়টি মিডিয়ার ওপর সেন্সরশিপ আরোপের ‘ভদ্র পন্থা’ হিসেবে দেখছেন খালেদা জিয়া।
অবরোধ তুলে নিলে সংলাপের ব্যাপারে সরকার ভেবে দেখবে- ক্ষমতাসীনদের এমন বক্তব্য’র ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শওকত মাহমুদ বলেন, ম্যাডাম তার সর্বশেষ বক্তব্যে পরিষ্কার করে বলেছেন ‘আগে সংলাপের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ’ তারপর অবরোধ তুলে নিয়ে সংলাপে বসার বিষয়টি ভেবে দেখবেন তিনি।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গুলশান অফিসে প্রবেশ করেন শওকত মাহমুদ। প্রায় ১ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন তিনি।
রাত সাড়ে ৮টায় বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে একটি গাড়িতে উঠে গন্তব্যে রওনা হন বিএনপির চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা।
হরতালের মধ্যে গাড়ি হাকিয়ে বেরানোর বিষয়টি দৃষ্টিকটূ হলেও যেহেতু গাড়িতে সংবাদপত্র লেখা ছিলো তাই কেউ এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি।
গত ৩ জানুয়ারি রাত ১১টা ৪০ মিনিটে নিজের কার্যালয়ে কার্যত ‘অবরুদ্ধ’ হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। টানা ১৬ দিন ‘অবরুদ্ধ’ থাকার পর ১৮ জানুয়ারি রাত ২টা ৫০ মিনিটে তার কার্যালয়ের সামনে থেকে সব বাধা দূর করা হয়। এর পর ৪ দিন কেটে গেলেও গুলশান কার্যালয় থেকে বের হননি খালেদা জিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৫