বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে: বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ও রোববার (২৫ জানুয়ারি) ভোর থেকে ৩৬ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার একান্ত সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
শনিবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় ফটকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান তিনি।
ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুলশানে আসার ইচ্ছেপ্রকাশ ও খালেদার বর্তমান অবস্থা নিয়ে এ ব্রিফিং করেন শিমুল বিশ্বাস।
তিনি বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি ও রোববার ভোর থেকে ৩৬ ঘণ্টার হরতাল চলবে।
এছাড়া, পুত্র হারানোর শোকে ব্যথাতুর খালেদাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শনিবার তার সাক্ষাৎ হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
এর আগে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক শীর্ষ নেতাও বাংলানিউজকে কর্মসূচি স্থগিত না করার বিষয়ে জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তিনি (খালেদা জিয়া) কেবল ‘মা’ নন, ‘দেশনেত্রী’ও বটে। তাই ব্যক্তিগত শোকের চেয়ে, দেশের স্বার্থটাকেই বড় করে দেখছেন তিনি।
সে কারণেই ২০ দলের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ও রোববার ভোর ৬টা থেকে লাগাতার ৩৬ ঘণ্টার হরতাল স্থগিত করার ব্যাপারে কোনো কথা বলতে চাননি। সুতরাং হরতালও হবে, অবরোধও চলবে।
তবে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ দেশে আনার দিন সব ধরনের কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করা হতে পারে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
সন্ধ্যায় সান্ত্বনা দিতে গুলশানে আসা দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরামের কয়েকজন নেতা ঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে কথা বলতে চাইলে খালেদা তাদের সাফ জানিয়ে দেন, এ ব্যাপারে এখনই কোনো আলোচনা করা হবে না।
খালেদা জিয়ার এই মনোভাবের কারণে দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরামের ওই নেতারা ধরেই নেন- ২০ দলীয় জোটে ঘোষিত কর্মসূচি আপাতত স্থগিত বা প্রত্যাহার হচ্ছে না।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ায় আরাফাত রহমান কোকো’র মৃত্যু হয়। অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। মৃত্যুকালে কোকোর বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫/আপডেট ২১২৮ ঘণ্টা