রাজশাহী: পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রাজশাহীতে নুরুল ইসলাম শাহীন (৪৫) নামের এক জামায়াত নেতা মারা গেছেন।
বুধবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী জেলা পুলিশ সদর দফতরের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন জানান, নিহত নুরুল ইসলাম শাহীন ওরফে তাকু শাহীনের বাড়ি মতিহার উপজেলার বিনোদপুর এলঅকায়।
শাহীন রাজশাহী ৩০ নম্বর ওয়ার্ড শিবিরের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে জামায়াতের সেক্রেটারি হিসেবে সক্রিয় ছিলেন।
২০১৩ সালে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মাজিদের ওপর শিবিরের হামলার নেতৃত্ব দেন শাহীন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মোট ১৩টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৮টি মামলায় রয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার দিনগত রাত ৯টার দিকে শাহীনকে নগরীর মালো পাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাত সোয়া দুইটার দিকে তাকে নিয়ে অভিযানে বের হয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। নগরীর নলখোলা এলাকায় পৌঁছালে শিবিরকর্মীরা হামলা চালিয়ে শাহীনকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও পাল্টা ৫ রাউন্ড রাইফেল ও ১৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শাহীনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এসময় শিবিরকর্মীদের ছোড়া ককটেলের স্প্লিন্টারে মোজাফ্ফর হোসেন (১০১২) ও গোলাম মোস্তফা (১৩০৫) নামের দু’জন ডিবি কনস্টেবল আহত হন। তাদের রাজশাহী পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি রিভলভার, ১০টি ককটেল, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৩ রাউন্ড শটগানের গুলি উদ্ধার করেছে বলেও জানান তিনি।
ময়নাতদন্ত শেষে শাহীনের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে, জানান শামসুদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার তমিজ উদ্দিন, উপ-কমিশনার তানভীর হায়দার চৌধুরী, মহানগর গোয়েন্দা শাখার সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫