ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দেখা না দেওয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
এ জন্য তিনি বিএনপিকে ‘বেয়াদবদের দল’ বলেও আখ্যায়িত করেন।
তবে খালেদা জিয়া দেখা না দিলেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জানাজায় অংশ নেবেন বলে জানান মায়া।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছেলের মৃত্যুতে ব্যথিত হয়ে একজন মা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আরেকজন মাকে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন। সব প্রটোকল ভেঙে গুলশানে খালেদা জিয়ার কাছে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু দরজা বন্ধ রেখে প্রধানমন্ত্রীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এটা দুঃখজনক ঘটনা। বিএনপির অন্য নেতারাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেননি। আসলে ‘বিএনপি একটি বেয়াদবদের দল’।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট আয়োজিত মানববন্ধন শেষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এ সব কথা বলেন।
সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন-সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে মায়া আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী সমবেদনা জানাতে গেলে বলা হলো- খালেদা জিয়াকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুমিয়ে রাখা হয়েছে। এটা কোনো কথা হতে পারে!
তিনি বলেন, ঘুমিয়ে থাকলেও তো এক নারী আরেকজন নারীর কাছে যেতে পারেন। অন্তত তার গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে পারতেন। এটা তো একটা সৌজন্য। তারপরও আমি বলি, যদি আমাদের যেতে নাও বলে, তারপরও আমরা খালেদা জিয়ার ছেলের জানাজায় অংশ নেবো।
আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি, খালেদা জিয়া যে শোক পেয়েছেন, সেই শোক বহন করার শক্তি যেন তিনি পান।
সমাবেশে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধ দিয়ে জনগণের সাড়া না পেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর হরতাল ডেকেছেন। তার এই হরতালও ব্যর্থ হয়েছে। দেশের মানুষ সাড়া দেয়নি। প্রত্যাখ্যান হয়েছে। সব কিছুই স্বাভাবিক আছে। শুধু তার সন্ত্রাসীরা পেট্রোল বোমা মারছে। পেট্রোল বোমা খালেদা জিয়ার কর্মসূচিকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের চেয়ারম্যান ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন-সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মানগর নেতা বাচ্চু মিয়া প্রমুখ।
এদিকে, হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী আরো কয়েকটি সংগঠন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মিছিল-সমাবেশ করে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে এ সব সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে সমবেত হন।
এখানে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক লীগ ছাড়াও যুবলীগ ঢাকা মহানগর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ পৃথক পৃথক সমাবেশ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫