গুলশান থেকে: আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খোলা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও মিশরের রাষ্ট্রদূত। এছাড়া বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ডেভিড মিলিও স্বাক্ষর করেন শোকবইয়ে।
রোববার বিকেল চারটা দশ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রবেশ করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন। এর পর পর্যায়ক্রমে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন মিশরের রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইজ্জাত, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি চিফ অব মিশন ডেভিড মিলি।
বিএনপি অফিস সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের মৃত্যুতে শোকাহত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি সমবেদনা জানাতে এবং কার্যালয়ে রক্ষিত শোকবইয়ে স্বাক্ষর করতে আসেন এই কূটনীতিকরা। শোকবইয়ে স্বাক্ষর করে অল্প সময় পরই কার্যালয় ত্যাগ করেন তারা।
শনিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে (মালয়েশিয়া সময় দুপুর ২টা) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিএনপি চেয়ারপার্সনের কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকো।
২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল হোসেন রোডের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়া ও তার ছেলে কোকোকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী।
এরপর ২০০৮ সালের মে মাসে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। তারপর থেকে কোকো বিদেশেই অবস্থান করছিলেন। সর্বশেষ স্ত্রী ও দুই কন্যা নিয়ে তিনি মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বসবাস করতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫/আপডেট ১৬৫৫ ঘণ্টা