ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সান্ত্বনা দিতে খালেদার কার্যালয়ে কূটনীতিকরা

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫
সান্ত্বনা দিতে খালেদার কার্যালয়ে কূটনীতিকরা আরাফাত রহমান কোকো'র মৃত্যুতে রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা

বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে: ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার কূটনীতিকরা।

রোববার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা ১০ মিনিট থেকে বিদেশি কূটনীতিকরা বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসতে শুরু করেন।



কোকোর মৃত্যুতে কার্যালয়ে সংরক্ষিত শোক বইয়ে এখন পর্যন্ত সই করেছেন ব্রিটেন, চীন, কাতার, সৌদি আরব ও মিশরের রাষ্ট্রদূত এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি চিফ অব মিশন, ভারত ও পাকিস্তানের উপ-হাইকমিশনার এবং ফিলিস্তিনের উপ-রাষ্ট্রদূত।
প্রথমে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে খালেদা কার্যালয়ে প্রবেশ করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন। এরপর পর্যায়ক্রমে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন মিশরের রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইজ্জাত, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি চিফ অব মিশন ডেভিড মিলি।

তারা কার্যালয়ে রক্ষিত শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে অল্প সময় পরই চলে যান।

এরপর আসেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি জুন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল্লাহ বিন নাসের আল বুসাইরি। আসেন ফিলিস্তিনি উপ-রাষ্ট্রদূত ও পাকিস্তানের উপ-হাইকমিশনারও।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গুলশান কার্যালয়ে পৌঁছান কাতারের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আব্দুল আজিজ এম আল-মানা ও সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত চ্যান হেং উইং।

রাত ৭টা ৫০ মিনিটে আসেন ভারতীয় উপ-হাইকমিশনার সন্দ্বীপ চক্রবর্তী।

তারাও কোকোর মৃত্যুতে সংরক্ষিত শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে চলে যান।

কাতার ও সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূতদ্বয়ের সঙ্গে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদও।

শনিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে (মালয়েশিয়া সময় দুপুর ২টা) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান খালেদার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকো।

২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল হোসেন রোডের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়া ও তার ছেলে কোকোকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী।

এরপর ২০০৮ সালের মে মাসে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। তারপর থেকে কোকো বিদেশেই অবস্থান করছিলেন। সর্বশেষ স্ত্রী ও দুই কন্যা নিয়ে তিনি মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বসবাস করতেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫/আপডেট ১৯১৯ ঘণ্টা/আপডেট ২১২০ ঘণ্টা

** খালেদার কার্যালয়ে ব্রিটেন ও মিশরের রাষ্ট্রদূত

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।