হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার, দুই সহকারী পুলিশ সুপারের বাসভবনসহ বিভিন্ন স্থানে পেট্রল বোমা নিক্ষেপকারী তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া বোমা নিক্ষেপকালে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৫ জানুয়ারি) রাত ১২টায় হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগর এলাকা থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।
আটকরা হলো- ভৈরব সদর উপজেলার কালীপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে ফয়সল মিয়া (১৮), হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগর এলাকার কদর আলীর ছেলে সাজ্জাদ ওরফে সাদত (২৫) ও একই এলাকার নিম্বর আলীর ছেলে রহমত মিয়া (৩২)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার বাসভবনে দুই দফায় এবং মুসলিম কোয়ার্টারসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি পেট্রল বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এর আগে বোমায় মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আল আমিন (২৮) আহত হয়।
এছাড়া শুক্রবার (২৩ জানুয়ারি) সহকারী পুলিশ সুপার বাসভবনে আরও একবার পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে মোটরসাইকেল আরোহী দুই দুর্বৃত্ত। এরপর থেকে পুলিশ দুর্বৃত্তদের আটক করতে জোর তৎপরতা চালায়।
পুলিশ দুর্বৃত্তদের আটক করতে জেলার বিভিন্ন স্থানে জাল বিস্তার করে। এরই অংশ হিসেবে রাতে হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ উমেদনগর এলাকায় অভিযান চালায়।
এ সময় পুলিশ উমেদনগর এলাকার ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী আটক রহমত আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া ফয়সলকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ সাদত ও রহমতকেও আটক করে।
থানায় আটক ফয়সল পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়, আটক সাদতের নির্দেশে তিনি ৫৩টি পেপসির বোতল ও ১০ লিটার পেট্রল কিনেছে। ফয়সল ও সাদত কয়েকটি পেট্রল বোমা তৈরি করে পুলিশ সুপার বাসভবনসহ বিভিন্ন স্থানে নিক্ষেপ করে।
পরবর্তীতে ফয়সলের স্বীকারোক্তিতে বিভিন্ন সময় বোমা নিক্ষেপকালে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উমেদনগর এলাকা থেকে উদ্ধার করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫