ঢাকা: দেশের যেখানেই পেট্রোল বোমা, নাশকতা, অরাজকতা হবে সেখানেই শীর্ষনেত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া আসামি হবেন। তদন্তের কোন পর্যায়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে সেটা তদন্তকারী সংস্থার এখতিয়ারাধীন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার দশম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
‘সারা দেশে নাশকতা ও সহিংসতার জন্য খালেদাকে হুকুমের আসামি করে মামলা হওয়া উচিত’ মন্তব্য করে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘খালেদাকে গ্রেফতার তদন্তকারী সংস্থার এখতিয়ারে। ’
তিনি বলেন, বিএনপির ভেতরে একটা ভাঙ্গনের সুর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা বেশি দূরে নয়, বিএনপির ভেতরে যে সব শুভবুদ্ধি সম্পন্ন লোক আছেন তারা বেরিয়ে আসবেন। ‘
‘জামায়াতের বিএনপিকে যারা বিএনপি হিসেবে মানতে পারছেন না তারা অবশ্যই বেরিয়ে আসবেন’ বলেও প্রত্যাশা করেন কামরুল ইসলাম।
সংলাপ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোন আলোচনা নয়। কোনো সমঝোতা-সংলাপ করে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোন সম্ভাবনাও এখন নেই। ’
এছাড়া সংলাপ করে দাবি পূরণের যে সংস্কৃতি চালু করার চেষ্টা চলছে তার কোন সুযোগ দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
কামরুল ইসলাম বলেন, আউটসোর্সিং করে যেসব নাশকতা হচ্ছে তা দমন করবে সরকার। আর নাশকতার জন্য বিএনপির বিত্তশালীরা অর্থের যোগান দিচ্ছেন। তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫