ঢাকা: আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ দেখতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে আসেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী। তবে চেয়ারপার্সন সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) ওপর নির্দেশ ছিলো জিয়া পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও দলের কয়েক জন শীর্ষ নেতা ছাড়া ভেতরে কেউ প্রবেশ করবে না।
সকাল সাড়ে ১১টায় কার্যালয়ের সামনে হট্টগোল সৃষ্টি করেন বিএনপির সাবেক এমপি নূরজাহান ইয়াসমীন, নীলোফার চৌধুরী মনি, হেলেন জেরিন খান, রেহেনা আক্তার রানু ও শাম্মী আক্তার।
দীর্ঘ সময় ধরে তারা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে সিএসএফ এর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তবুও কার্যালয়ে প্রবেশে ব্যর্থ হন। এর পরে দলবদ্ধভাবে উত্তর গেটে চলে আসেন।
অনেক কাটখড় পোড়ানোর পরে উত্তর গেট দিয়ে প্রবেশ করেন শাম্মী আক্তার, নিলোফার মনি, হেলেন জেরিন খান ও তাহমিনা রুশদি লুনা। কিন্তু ভেতরে প্রবেশে ব্যর্থ হন নূরজাহান ইয়াসমীন।
তিনি উত্তর গেটে সিএসফ সদস্যদের বার বার বলতে থাকেন, আমি তিন বারের এমপি গেট খোল! জিয়ার আমলেও এমপি ছিলাম।
নূরজাহান ইয়াসমীন ময়মনসিংহ থেকে এমপি নির্বাচিত হন। বয়সেও তিনি অনেকের চেয়ে বড়। তবে অনেকটা সহজ সরল প্রকৃতির এই নেত্রী শাম্মী-পাপিয়াদের মতো আক্রমণাত্মক আচরণ করতে না পারায় শেষ পযর্ন্ত ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। এছাড়া সকাল ১০টার কিছু পরে সাবেক এমপি আসিফা আশরাফি পাপিয়া ও রেহেনা আক্তার রানু ফিরে যান। তবে কোকো’র মরদেহ আসার কিছু আগে তারা প্রবেশ করেন ভেতরে।
এছাড়া বিএনপির অনেক নেত্রী গুলশান কার্যালয়ের সামনে বসে কোকো’র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কোরআন, তসবিহ পড়েন। অনেকে দোয়া দরুদও পড়েন।
শাম্মী আক্তারসহ কিছু নেত্রীর অসৌজন্যমূলক আচরণ ভালোভাবে দেখেননি অন্য নেত্রীরা। এই সময় কথা হয় খিলগাঁও থেকে আসা নেত্রী আলহাজ জহুরা গাজীর সঙ্গে।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আজকে আমরা কোকো’র জন্য দোয়া করতে এসেছি, কারো সঙ্গে ঝগড়া করতে আসিনি। হাতের পাঁচটি আঙ্গুল সমান নয়। কিছু নেত্রী গেটে যে অবস্থা সৃষ্টি করেছেন এটা কারোর কাম্য নয়।
গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির অনেক নেত্রীই সিএসএফ এর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এক নেত্রী সিএসএফ কে বলেন, তুই কে? এমন সময় ওই সিএসএফ সদস্য বলেন, অমরা মানুষ। জিয়া পরিবার ও লিস্টের লোক ছাড়া আমরা কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেব না। আপনারা আমাদের যাই বলেন না কেন!
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫