ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদার নামে মামলার নিন্দা রিজভীর

পলিটিক্যাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫
খালেদার নামে মামলার নিন্দা রিজভীর রুহুল কবির রিজভী

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।



এসব মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে রিজভী বলেন, ভোটারবিহীন গণবিরোধী সরকারের টিকে থাকার ভিত্তি হচ্ছে উৎপীড়ণ আর নির্দয় জুলুম। তাই রাষ্ট্রযন্ত্রকে কব্জা করে নিজেদের সর্বনাশা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য সরকার বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে গুলি করার নির্দেশ দিয়ে তাদেরকে নানা ধরনের অনাচার ও অবাধ হত্যা বাণিজ্যে লিপ্ত করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ফলে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরাই এখন সবচেয়ে বেশি র‌্যাব-পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি, ভাড়ায় সিরিজ হত্যা, গ্রেফতার বাণিজ্য, ক্রসফায়ারের নামে খুন এবং পায়ে গুলি খেয়ে পঙ্গুত্বের শিকার হচ্ছে।

রিজভী আহমেদ বলেন, এখানেই শেষ নয়, নিপীড়ক সরকারের টার্গেট হচ্ছে এদেশের জনগণের অবিসংবাদিত নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার দলকে নিশ্চিহ্ন করা। কারণ জাতীয়তাবাদী শক্তি দুর্বল হলেই কেবল দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়া সহজ হয়। সেই লক্ষ্যেই ভোটারবিহীন ক্ষমতাধররা খালেদা জিয়ার বিপক্ষে একের পর এক সিরিজ মামলা দিয়ে যাচ্ছে।

রিজভী আরো বলেন, আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু সংবাদে প্রধানমন্ত্রী গুলশান কার্যালয়ে এসে ফিরে যাওয়াতে নাকি অপমানবোধ করেছেন বলে আমরা সংবাদপত্র থেকে জেনেছি। পুত্রশোকে কাতর অচেতন খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দেখা হয়নি এটা ঠিক, কিন্তু তার আসাটাকে বিএনপি ইতিবাচক হিসেবেই দেখেছে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে শোক জানানোর চেয়ে শেখ হাসিনার নোংরা রাজনীতিটাই যেন মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। সেটাই হাসিল করা হচ্ছে অত্যন্ত জোরেশোরে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসার আগুন এতো লেলিহান যে, তিনি সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান ও মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর সেক্টর কমান্ডার সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকো’র লাশ বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করতে দিলেন না। এমনকি কোকো’র জানাযায় যাতে লোক সমাগম বেশি না হয় সেজন্য বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা, স্কুল, কুলেজ, মাদ্রাসাসহ ২০ দলীয় জোটের নেতাদের সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী হুমকি দিয়েছে। সুতরাং কোকো’র মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সমবেদনা জানাতে আসার উদ্দেশ্যই ছিল অপরাজনীতি ও কুটিল চাতুরি।

অবিলম্বে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য নেতাদের নামে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান রিজভী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।