বগুড়া: বগুড়ায় ২০-দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার ৪৮ ঘণ্টা হরতালের প্রথমদিন বুধবার (২৮ জানুয়ারি) ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে।
দুই একটি ছোট্ট মিছিল ও সড়কে টায়ার জ্বালানোর চেষ্টা করা হলেও সার্বিকভাবে বগুড়ায় হরতালের প্রভাব তেমন ছিল না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১টা পর্যন্ত শহরের নামাজগড়-হাকির মোড়সহ সদরের সাবগ্রাম ও এরুলিয়া গোদারপাড়ায় ছোট ছোট মিছিল ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রশিবির। তবে পুলিশি তৎপরতার কারণে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেনি হরতাল সমর্থিত কর্মকাণ্ড।
যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকলেও আগের দিনের মতোই ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। পুলিশি প্রহরায় দুরপাল্লার কিছু পণ্যবাহী ট্রাক শহরে ঢুকতে দেখা গেছে।
হরতালের বিপক্ষে সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীরা সাতমাথায় অবস্থান নেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে দুপুর ১টা পর্যন্ত শক্ত অবস্থান নিয়ে তারা মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে।
সমাবেশ থেকে বিএনপি-জামায়তের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) গাজিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের অলতাফুন্নেসা খেলার মাঠে আরাফাত রহমান কোকোর গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে জানাযার মাঠ থেকেই দুই দিনের হরতাল আহ্বান করা হয়।
বুধবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত লাগাতার হরতালের এ ঘোষণা দেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও ২০ দলীয় জোটের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫