ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩২, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

রাজনীতি

রবীন্দ্রনাথ মানবতার আর বঙ্গবন্ধু রাজনীতির কবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:২৬, মে ৮, ২০১৫
রবীন্দ্রনাথ মানবতার আর বঙ্গবন্ধু রাজনীতির কবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিরাজগঞ্জ: ‘রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রকৃতি, প্রেম ও মানবতার কবি। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতির কবি’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



শুক্রবার (০৮ মে) বেলা পৌনে ১২টায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ যা বলেছেন বঙ্গবন্ধু সেই পথ ধরে এগিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথের দ্বারা প্রভাবিত। তিনি মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পূর্বেই রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি জাতীয় সংগীত হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তার চিন্তা-চেতনায় রবীন্দ্রনাথের অসাম্প্রদায়িক চেতনা, মানবকল্যাণের ভাবনা স্থায়ীভাবে আসন গেড়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাংলার প্রকৃতি, আকাশ, নদী, পাখি ও মানুষকে গভীরভাবে ভালবেসেছিলেন। তার প্রমাণ তিনি তার লেখনীতে রেখে গেছেন। তিনি শাহজাদপুরে এসেছিলেন জমিদারি দেখাশোনা করার জন্য,  কিন্তু শুধু জমিদারির মধ্যেই তিনি সীমাবদ্ধ ছিলেন না। গরীব চাষীদের মধ্যে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ কার্যক্রম তিনিই চালু করেছিলেন। তার জমিদারির সাড়ে ৪ হাজার বিঘা জমি গো-চারণ ভূমি হিসেবে কৃষকদের ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন অত্যন্ত প্রজাবৎসল এক জমিদার।
 
প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিওয়ানবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ব্রিটিশদের দেওয়া নাইট উপাধি তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেনভ কিন্তু বাংলাদেশের কিছু মানুষ মানুষ হত্যাকারী-বোমাবাজদেরর এখনও কিভাবে সমর্থন করে সেটা আমার বোধগম্য নয়।
 
আওয়ামী লীগ সরকারই রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি রক্ষায় সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে। এখানে সমাজ বিজ্ঞান, কৃষি, প্রযুক্তির পাশাপাশি সাহিত্য ও সংস্কৃতি শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।

এ সময় রবীন্দ্রনাথের নামে কুষ্টিয়ায় আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের সাফল্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দিয়েছি। কৃষকদের ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ দিয়েছি। সাধারণ মানুষের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুরের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, স্থানীয় সাংসদ হাসিবুর রহমান স্বপন, সংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বেগম আকতারী মমতাজ ও জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেন।

এরআগে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে দেশের ৩৫তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া সিরাজগঞ্জ ১৫০ মেগাওয়াট গ্যাস টারবাইন বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেলে উন্নীতকরণ, শেখ রাসেল পৌর শিশু পার্ক, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি, জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, ২৫০ মেগাওয়াট সম্প্রসারিত বিদ্যুৎ কম্বাইন্ড সার্কেলের উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৫/আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা
এসআর

** রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিফলক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ