সিলেট: আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে সিলেট জেলা ছাত্রদল সভাপতি সাঈদ আহমদের বিরুদ্ধে কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১০ আগস্ট) বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. রুহেল আহমদ।
তার অভিযোগ, যোগ্যতা ছাড়াই টাকার বিনিময়ে ছাত্রদলের শাখা উপ-শাখা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর সাংগঠনিক যোগ্যতা থাকলেও টাকা না দিলে পদ-পদবি মেলে না।
তিনি বলেন, মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে চুক্তি করে পদ-পদবি নিয়ে ব্যবসা করছেন সিলেট জেলা ছাত্রদল সভাপতি সাঈদ আহমদসহ কমিটির সংশ্লিষ্টরা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, সাঈদ যেন সিলেট ছাত্রদলের ইজারাদার।
চলতি বছর ১৪ জুন বিয়ানীবাজার পৌরসভা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিতে ৮নং যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে নিজের নাম দেখে বিস্মিত হন রুহেল।
জেলা ছাত্রদল নেতাদের অনৈতিক-অগঠনতান্ত্রিক আচরণ এবং দলের ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপের অভিযোগ করে রুহেল আহমদ বলেন, অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে ছাত্রদল নেতারা তার নাম পর্যন্ত পাল্টে দিচ্ছেন। এর কারণ খতিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করেননি তারা। উপরন্তু তারা একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে অপপ্রচারের জন্য তাকে বরখাস্ত করেন। ওই ফেসবুক আইডি আমার নয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ, সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্না ও যুগ্ম সম্পাদক মকসুদরা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব অপপ্রচার বন্ধ ও গণমাধ্যমে দেওয়া বহিষ্কারের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রদল নেতা মো. দেলোয়ার হোসেন দিলু, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. হারুন রশিদ জুনেদ, পারভেজ আহমদ পলাশ, মো মাহিন আহমদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৫
এনইউ/এসএস