ঢাকা: নিম্ন আদালত থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলার নথি তলব এবং ২০০৮ সালে দুদকের দেওয়া অব্যাহতিপত্র তলব করতে খালেদা জিয়ার করা আবেদনেরওপর রোববার (২৩ আগস্ট) আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৯ আগস্ট) বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী ও দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
এই আদালতেই একই মামলা বাতিল বিষয়ে প্রায় সাতবছর আগে জারি করা রুলের উপর শুনানি চলছে।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
এরপর মামলাটি বাতিল চেয়ে ওই বছরই হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সে বছরের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এই রুলের উপর বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি চলছে।
এ অবস্থায় মামলার নথি তলব চেয়ে মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) আবেদন করা হয়েছে।
ওই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও অপরাপর আসামিরা হলেন-এম সাইফুর রহমান (মৃত), আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম (মৃত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।
বাংলাদেশ সময়:১৫২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯,২০১৫
ইএস/জেডএস