ঢাকা: অর্থপাচারের (মানি লন্ডারিং) মামলায় অবশেষে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি এখন কাশিমপুর কারাগারে (পার্ট-১) এ বন্দি রয়েছেন।
বুধবার বিচারপতি মো.রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।
প্রায় এক বছর পাঁচ মাস ধরে কারাবন্দি বিএনপির এ নেতার এখন জামিনে মুক্তি পেতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী । সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মো.নাজমুল হুদা, মিথুন রায় চৌধুরী এবং মারুফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।
মারুফ হোসেন জানান, ‘আদালতে পাসপোর্ট জমা, বিদেশ যেতে হলে আদালতের অনুমতি গ্রহণ এবং লন্ডনের ওই ব্যাংকে থেকে টাকা ট্রান্সফার করা যাবে না’ এই শর্তে জামিন দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে মোট ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা পাচারের অভিযোগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, খন্দকার মোশাররফ ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের Lloyds TSB Offshore Private Bank ব্যাংকে তার নিজের ও স্ত্রী বিলকিস আক্তারের যৌথ নামে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২ ব্রিটিশ পাউন্ড পাচার করেন। যা বাংলাদেশি টাকায় ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকার সমান। এ টাকা তিনি বিভিন্ন সময় ১০৮৪৯২ অ্যাকাউন্ট নম্বরে ফিক্সড টার্ম ডিপোজিট হিসেবে জমা করেন।
দুদকের অনুসন্ধানে মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘিত হওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন’২০০২ এর ১৩ ধারা এবং ২০০৯ ও ২০১২ এর চার ধারায় মানিলন্ডারিংয়ের মামলা দায়ের করা হয় বিএনপির হেভিওয়েট এ নেতার বিরুদ্ধে।
গত বছরের ১২ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় খন্দকার মোশাররফকে গুলশানে অবস্থিত তার নিজ বাসা থেকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯,২০১৫
ইএস/আরআই