ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন কাজী জাফর আহমেদ। আইয়ুর বিরোধী আন্দোলন, ৬৯’র গণ অভ্যুত্থান, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ ও শ্রমিক আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে কাজী জাফরের মরদেহ দেখতে এসে সাংবাদিকদের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, একজন প্রবীণ রাজনীতিক হিসেবে সব আন্দোলনের ক্ষেত্রে তার কাছ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা পেয়েছি। তার এ হঠাৎ প্রয়াণে বাংলাদেশের রাজনীতি তথা ২০ দলীয় জোটের রাজনীতিতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। এ ক্ষতি সহজে পুষিয়ে উঠার নয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৭টায় গুলশানের নিজ বাসভবনে (রোড-৬৮, বাসা-২) হৃদরোগে আক্রান্ত হন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান, প্রবীণ রাজনীতিক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর।
দ্রুত রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোয়া ৭টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
তার মৃত্যুর খবর শুনে ইউনাইটেড হাসপাতালে ছুটে আসেন জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
এদিকে কাজী জাফর আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এছাড়া অপর এক বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৫
এজেড/জেডএস/জেডএম