ঢাকা: নেতা-কর্মীদের দলে অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাবেক পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, টানা দুবার সরকারে থাকার কারণে দলে অনেক অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েছে।
অনুপ্রবেশকারীরা নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দল এবং সরকারের ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন ড. হাছান মাহমুদ।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
হাছান মাহমুদ বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পরে যে পরিবারটি সবচেয়ে বেশি বেনিফিশিয়ারি তা হলো জিয়া পরিবার। এ হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র বিপদগামী কিছু সেনাসদস্যদের হত্যাকাণ্ড ছিল না। এই হত্যাকাণ্ডে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল। আর এতে কুশীলব হিসেবে কাজ করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর হত্যার ফলেই জিয়া এদেশের রাষ্ট্রপতি হতে পেরেছিলেন মন্তব্য করে সাবেক পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিকে এদেশে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের কারণেই খালেদা জিয়া এদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছিলেন। এ কারণেই ১৫ আগস্ট শোক দিবসে খালেদা জিয়ার এতো উল্লাস। কেক কেটে তিনি মিথ্যা জন্মদিন পালন করেন।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, বিএনপির এই দৈন্যদশার জন্য খালেদা জিয়া দায়ী। রাজপথ-সংসদ সর্বক্ষেত্রে স্থান হারিয়ে বিএনপি এখন শুধুমাত্র দলীয় কার্যালয় নির্ভর দলে পরিণত হয়েছে। তাই বিএনপিকে রাহুমুক্ত করতে হলে আপনারা খালেদা জিয়াকে বর্জন করুন। না হলে ভবিষ্যতে বিএনপিকে দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, শাহে আলম মুরাদ, অরুণ সরকার রানা, এম এ করিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৫
পিআর/এমজেএফ