ঢাকা: একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও পঁচাত্তরের খুনিদের যেভাবে বিচার করা হয়েছে, সেই একইভাবে আগুন-সন্ত্রাসী ও একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচার চেয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ বিচার চান।
এতে তথ্যমন্ত্রী ছাড়াও বক্তৃতা করেন সাবেক মন্ত্রী মিজানুর রহমান শেলী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শফি কামাল প্রমুখ।
হাসানুল হক ইনু বলেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও পঁচাত্তরের পনের আগস্টের খুনিদের যেভাবে বিচার করা হয়েছে, সেই একইভাবে আগুন-সন্ত্রাসী ও একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচার করতে হবে। বিচারের আওতায় এনে তাদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলাতে হবে।
তিনি বলেন, আগুন-সন্ত্রাসে জড়িত খালেদা জিয়া ও একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় জড়িত তারেক রহমানের বিচার করতে হবে। অনেকেই খালেদা-তারেককে বাঁচানোর জন্য তাদের গণতন্ত্রের বারান্দায় রাখার চেষ্টা করছেন। যদি তাদের বিচার করা না হয়, তাহলে বাংলাদেশ যে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে হাঁটছে, সে পথ বাধাগ্রস্ত হবে। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথের বাধা দূর করতে খালেদা-তারেকদের বিচারের আওতায় এনে শায়েস্তা করতে হবে। এরা একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা করে মানুষ মেরেছে, আগুন-সন্ত্রাস করে মানুষ মেরেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেবল জাতির পিতা ছিলেন না, তিনি আধুনিক বাঙালি জাতীয়তাবাদের নেতা ছিলেন। প্রজ্ঞা, সাহসিকতা ও মেধা দিয়ে তিনি বাঙালি জাতিকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। এজন্যই তার পক্ষে বাংলাদেশকে স্বাধীনতা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
জাসদ সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে, তারা বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে ঠিকই, কিন্তু তার স্বপ্ন, আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। তার স্বপ্নের বাংলাদেশকে হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়ন হচ্ছে। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে।
স্বাধীনতাবিরোধীরা বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে গিয়েছিল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সেখান থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন। স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতির মঞ্চে এনেছিলেন। সেই স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচার হচ্ছে। বাংলাদেশে আর সামরিক শাসন ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চলবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৫
এমএম/এইচএ