ঢাকা: গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো বিনিয়োগবিরোধী বলে মত দিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও সরকার না কমিয়ে উল্টো পথে হাঁটছে।
এতে জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও মনে করেন তিনি।
সে কারণে নিম্নআয়ের মানুষদের কথা চিন্তা করে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম পুনর্বিবেচনার দাবি করেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
শনিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা বলা হয়।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ব্যবসা ও বিনিয়োগ তথা সার্বিক অর্থনীতিতেও। এ অবস্থায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণে সব উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেলে উদ্যোক্তারা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এ ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই বিনিয়োগে আসতে চাইবেন না। ফলে, নিরুৎসাহিত হবে বেসরকারি খাত।
এ কারণে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি বিনিয়োগবিরোধীই বলে মনে হয়।
বিরোধীদলীয় নেতা আশা প্রকাশ করে বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকারের উচিত বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা। একই সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারের দামের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করা।
রওশন এরশাদ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম কমার আশা করেছিল মানুষ। এ অবস্থায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম যে বৃদ্ধি করেছে, তার মাধ্যমে কার্যত জন-আকাঙ্ক্ষার বিপরীত প্রতিফলন ঘটেছে।
তিনি আরো বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রথমত দুর্ভোগে পড়বে জনগণ। কারণ, এর ফলে পরিবারের ব্যবহার্য গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ছাড়াও বাড়বে দ্রব্যমূল্য, পরিবহন ও জীবনযাত্রার ব্যয়। এর বেশির ভাগ চাপ পড়বে সীমিত আয়ের মানুষের ওপর।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৫
এসএম/এবি