রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হল থেকে শিবিরের দুই কর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে ওই হলে তল্লাশি চালিয়ে জিহাদি বইসহ আরও এক শিবির কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
রোববার (৩০ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আটক শিবির কর্মীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তানজির আহমদ, পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আপন এবং আরবী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এনায়েত।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার দিনগত রাত আড়ায়টার দিকে ওই হলের শিবির নেতা আবদুস সালাম ২২৬ নম্বর কক্ষে কর্মীদের নিয়ে জড়ো হয়েছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান, গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম শাওন এবং ওই হলের ছাত্রলীগ কর্মী ইমাম মেহেদীসহ অন্যান্য ছাত্রলীগ কর্মীরা হাজির হন।
সেখানে কাউকে না পেয়ে তারা হলের অন্যান্য কক্ষে অভিযান চালিয়ে ২২৪ নম্বর কক্ষ থেকে শিবিরের জিহাদি বই উদ্ধার এবং ২২৬ ও ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে শিবির কর্মী তানজির, আপন ও আশিককে আটক করে মারধর করেন। এক পর্যায়ে আশিক তাদের হাত থেকে যায় পলিয়ে যায়। এ সময় শিবির নিয়ন্ত্রিত ৪১৯ ও ৪২৯ নম্বর কক্ষে ভাঙচুর চালায় এবং ২২৪ করে তারা।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ এলে শিবির কর্মী তানজির ও আপনকে পুলিশে সোপর্দ করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এসময় হলের অন্যান্য কক্ষে পুলিশ ফের তল্লাশি চালিয়ে শিবির কর্মী এনায়েতকে আটক করে।
এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শিবির নেতা সালাম ফোনে হলের কর্মীদের মারধরের হুমকি দেওয়ায় তাকে ধরতে ২২৬ নম্বর কক্ষে গিয়েছিলাম। এসময় শিবির কর্মীরা হলের বারান্দার সব লাইট বন্ধ করে আমাদের উপর হামলার চেষ্টা করে এবং আমাদের কর্মী নাহিদকে রড দিয়ে আঘাত করে। পরে আমরা দুই শিবির কর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) অশোক চৌহান বলেন, হলে শিবির ও ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। একটি কক্ষে সামান্য ভাঙচুরও হয়েছে। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি।
এ ঘটনায় তিন শিবির কর্মীকে আটক এবং কিছু জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৫
এটি