ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলায় তারেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন পিছিয়ে আগামী ১৯ অক্টোবর পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আওয়ামী লীগকে ‘কুলাঙ্গারের দল’ ও শেখ হাসিনাকে ‘কুলাঙ্গার দলের নেত্রী’ এবং ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কারকরা তেলবাজ’ বলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এবং ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণ শেষে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছেন ও ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই’ বলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে এ মানহানির মামলা করা হয়।
মামলায় তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানায় পুলিশ। গত ২৩ জুন আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন ফখরুল। পরে পলাতক তারেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
রোববার (৩০ আগস্ট) গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। পুলিশ প্রতিবেদন না দেওয়ায় তা পিছিয়ে আগামী ১৯ অক্টোবর পুনর্নির্ধারণ করেন ঢাকা সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার দের আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ২৪ আগস্ট লন্ডনের কুইনমেরি ইউনিভার্সিটিতে তারেক রহমান এক আলোচনা সভায় ‘আওয়ামী লীগ নেতারা কুলাঙ্গার ও শেখ হাসিনা কুলাঙ্গারদের নেত্রী’ বলেন। গত ২ সেপ্টেম্বর তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কারকরা তেলবাজ’ বলে বক্তব্য রাখেন। যা মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অন্যদিকে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণ শেষে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছেন এবং ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই’ বলে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যা মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ওইসব বক্তব্য গত বছরের ২৬ আগস্ট, ৩ সেপ্টেম্বর ও ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে।
মামলায় বলা হয়, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। জিয়াউর রহমান তাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিভিন্ন সময়ে গার্ড অব অনারও প্রদান করেছেন জেনেও তারেক রহমান লন্ডনে বসে বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং মির্জা ফখরুল দেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃত করে মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। ওইসব মিথ্যা, বানোয়াট, ইতিহাস বিকৃতি ও মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করে দেশসহ বিশ্বের দরবারে বাঙালি জাতির মান সম্মান ক্ষুন্ন করে ৫শ’ কোটি টাকার মানহানি করেছেন তারা। যা দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৫
এমআই/এএসআর