বরিশাল: বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার আলোচিত যুবলীগ নেতা পিন্টু হত্যা চেষ্টার অভিযোগে পৌর মেয়র হারিসুর রহমানকে প্রধানসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
পিন্টুর মা তাপসী রানী গুহ বাদী হয়ে রোববার (৩০ আগস্ট) বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
নামোল্লেখিত ১৬ জন হলেন-উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাবেক পৌর কাউন্সিলর জামাল হোসেন বাচ্চু, যুবলীগ নেতা আল-আমিন হাওলাদার, দেলোয়ার হাওলাদার, ছাত্রলীগ কর্মী জিয়া হাওলাদার, শিমুল আকন, জুলহাস সরদার, রাসেল হাওলাদার, রিপন বেপারী, দুলাল গোমস্তা, রায়হান বেপারী, মামুন বেপারী, রাশেদ খান, কামাল খান, সুমন সরদার, আল-আমিন ওরফে কালা আলামিন এবং সুমন চক্রবর্তী।
মামলায় নামধারী ১৬ জন ছাড়াও অজ্ঞাত আরো চার/পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালতের বিচারক তরুণ বাছাড় অভিযোগটি আমলে নিয়ে গৌরনদী থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গণ্য করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী রেজাউল ইসলাম।
মামলা ও আহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৬ আগস্ট রোববার সন্ধ্যায় বাটাজোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া-মোনাজাত ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে পিন্টু সন্ধ্যার দিকে অপর দুই যুবলীগ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের দোকানে বসে চা পান করছিলেন। হঠাৎ হারিসের অনুসারী ১৫/২০ জন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিন্টুকে উপর্যুপরী কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়।
খবর পেয়ে গৌরনদী থানা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন পিন্টুকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৯ আগস্ট তাকে বরিশাল থেকে ঢাকা বাংলাদেশ অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৫
আরএ