ময়মনসিংহ: বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামে গা ডাকা দিয়ে থাকা ময়মনসিংহের অনেক নেতা হঠাৎ তৎপর হয়ে উঠেছেন। দলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সক্রিয় নেতারা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করলেও তাদের পাল্টা কর্মসূচি পালন করেছেন নিষ্ক্রিয় কাতারের নেতারা।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দিনভর হঠাৎ তাদের এমন তৎপরতায় মামলা-হামলায় জর্জরিত তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। তাদের মতে, পদ হারানোর ভয়েই হঠাৎ তৎপরতা দেখাচ্ছেন আত্মগোপনে থাকা নেতারা।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে দলীয় কার্যালয় রেখে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনা সভা করে ময়মনসিংহ শহর বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম মোশাররফ হোসেন।
এছাড়া, ময়মনসিংহ জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা রহমান হুসনা’র নেতৃত্বে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেককাটা অনুষ্ঠানেও যোগ দেন এ কে এম মোশাররফ হোসেন।
একই উপলক্ষে বিকেলে শহরের নতুন বাজারের দলীয় কার্যালয়ে কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা করে দক্ষিণ জেলা বিএনপি।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা লিটন আকন্দ, নাজিম উদ্দিন, রফিকুল আলম শামীম প্রমুখ।
নেতাকর্মীদের মতে, বিগত সময়ের সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহাব আকন্দের বলয়ের এই পক্ষই।
ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বলেন, যারা বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে নিষ্ক্রিয় ছিল, তাদের পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য সম্প্রতি বিএনপির চেয়াপরপারসন খালেদা জিয়া তৃণমূল নেতাদের চিঠি দিয়েছেন। এতে পদ হারানোর ভয় চেপে বসে দলের দুঃসময়ে মাঠবিমুখ নেতাদের মাঝে।
তাদের মতে, যারা পুলিশের কাছে ‘বন্ড সই’ দিয়ে আন্দোলনের মাঠে দলকে বিপদে ফেলে গা ডাকা দিয়েছিল, এখন তারা নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে নামকায়াস্তে কর্মসূচি পালন করছে।
এসব বিষয়ে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম মোশাররফ হোসেনের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৫
এইচএ/