ফরিদপুর: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিয়নে ‘পকেট কমিটি’ করা হয়নি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুসারে সম্মেলন করে এসব কমিটি করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির পক্ষে শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম রব্বানী।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ১০ সেপ্টেম্বর সদরপুরের মোল্লা সুপার মার্কেটে বিএনপির বহিস্কৃত কিছু ব্যক্তি মোখলেসুর রহমান খানের সভাপতিত্বে তৃণমূল নেতাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির একাংশকে নিয়ে ‘পকেট কমিটি’ করার অভিযোগ করেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোখলেসুর রহমান খান ও মামুন খান ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়া, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবিতে অগ্নিসংযোগের অপরাধে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে বহিস্কৃত হন। ওই বহিস্কৃতরাই বিএনপিকে বিপাকে ফেলার জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছেন। সেই ষড়যন্ত্রকারীরা সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে পকেট কমিটি করার অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, গত ২৩ আগস্ট আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির চিঠির মাধ্যমে সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে নতুন কমিটির করার নির্দেশ পাই। ২৫ আগস্ট উপজেলা কমিটির সভা ডাকা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে ২৬ আগস্ট সকল ইউনিয়নকে চিঠির মাধ্যমে অবগত করি।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। বাকি ২টি ইউনিয়ন কমিটি আগামীতে করা হবে। যারা বিএনপির এসব কমিটিকে পকেট কমিটি বলছেন, তারা বিএনপির কেউ নন।
বিএনপির সাংগঠনিক কাজে যারা বাধা দেবেন ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএপির সহ সভাপতি মো. তারা মিয়া খান, সাধারণ সম্পাদক কাজী বদুরুতজ্জামান বুদু, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহালুল মাতুব্বর, আব্দুল রাজ্জাক খান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোকারম রেজা, বাবলু মিয়া এবং সকল ইউনিয়নের নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫
এএসআর