ঢাকা: জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থে ভূষিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, দেশের পরিমণ্ডল ছাড়িয়ে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় শেখ হাসিনা তার সাহসী পদক্ষেপের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, জাতির এমন অর্জনে দেশের অনেক রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনা এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকারকে অভিনন্দন জানাতে কার্পণ্য করে। আমি আশা করবো, এবার তারা এ ধরনের হীনমন্যতা থেকে বেরিয়ে আসবে।
সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ এ সব কথা বলেন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতি এবং কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ‘ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি’ পরিহার করে শিক্ষানুরাগী মনোভাব পোষণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
মহাজোট সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারই প্রথম মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের নিয়ম চালু করেছে। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার জন্য কোটা চালু করেছেন।
অন্যদিকে, যে শাহ আজিজুর রহমান জাতিসংঘের অধিবেশনে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করেছিলেন, তাকে জিয়াউর রহমান প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। যুদ্ধাপরাধী রাজাকার-আলবদরদের সঙ্গে নিয়ে জোট করে পরবর্তীতে তাদের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়েছিলেন। তাই, বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণ মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে যারা যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, তাদের নির্মূল করতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি এম এ জলিলের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আশরাফুন্নেছা মোশারফ, ইতিহাসবিদ সিরাজউদ্দিন আহমেদ, বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫
এবি